BJP Nabanna Abhiyan: নবান্ন অভিযানে পুলিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ বিজেপি কাউন্সিলের ছেলের!
মুর্শিদাবাদে বেলেডাঙায় বিজেপি কাউন্সিলরের বাড়িতে কলকাতা পুলিসে তদন্তকারী দল। অভিযুক্তকে অবশ্য পাওয়া যায়নি। বাড়ি তল্লাশি, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বললেন তদন্তকারীরা।
সোমা মাইতি: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ! মুর্শিদাবাদে বিজেপি বিজেপি কাউন্সিলের বাড়িতে কলকাতা পুলিসের পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল। কেন? লালবাজার সূত্রের খবর, কাউন্সিলের ছেলে পুলিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগে ঘটনা যুক্ত। যদিও বাড়িতে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সেদিন বিজেপির নবান্ন অভিযান চলাকালীন কলকাতার এমজি রোডে অ্য়াসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়কে ধাওয়া করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর বাঁশ ও লাঠি নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। হাত ভেঙে গিয়েছে ওই পুলিসকর্তার। শুধু তাই নয়, এমজি রোডেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের একটি গাড়িতেও। নেপথ্যে কারা? সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন লালবাজারে কর্তারা।
আরও পড়ুন: BJP Nabanna Abhiyan: 'জঙ্গলরাজ চলছে', বাংলায় এসে মমতাকে নিশানা বিজেপির প্রতিনিধিদলের
মুর্শিদাবাদের বেলেডাঙা পুরসভা এখন ত্রিশঙ্কু। এই পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সান্তনা ঘোষ। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কাউন্সিলরের ছেলে শুভজিৎ ওরফে রনিকে শনাক্ত করা গিয়েছে। ঘড়িতে তখন আড়াইটে। এদিন দুপুরে বেলেডাঙায় বিজেপি কাউন্সিলরের বাড়িতে পৌঁছন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় থানার আধিকারিকরা। অভিযুক্তকে পাওয়া না গেলেও. তল্লাশি চালানো হয় বাড়িতে। রেকর্ড করা হয় বাড়ির লোকেদের বক্তব্য।
এদিকে নবান্ন অভিযানের পর, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে রাজমকুমার মাইতি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। লালবাজার সূত্রে খবর, দমদমের বাসিন্দা রাজকুমার পেশায় শিক্ষক। এলাকায় বিজেপি সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি। নবান্ন অভিযানের সময়ে পুলিসকর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়ের উপর যাঁরা হামলা চালিয়েছিলেন, তাঁদের অন্য়তম এই রাজকুমার। এমনকী, অভিযান শেষে পাড়ায় গিয়ে রীতিমতো গর্ব করে 'পুলিসকে পেটানো'র কথা বলেছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। কিন্তু পরে বিপদ বুঝে গা-ঢাকা দেন পূর্ব মেদিনীপুরে। পুলিসের হাত বাঁচতে চুল, গোঁফ, দাড়িও কেটে ফেলেছিলেন তিনি।
বিজেপি কর্মসূচি নিয়ে নবান্ন রিপোর্ট দিয়েছে পুলিস সুপাররা। রিপোর্টে উল্লেখ, 'নবান্নে অভিযানের দিন গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হন বিজেপি কর্মীরা। হাওড়া সাঁতরাগাছিতে পুলিসের উপর হামলার চালানোর জন্য আগে থেকে ইট মজুত করে রাখা হয়েছিল। পুলিস গুলি চালালে বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারত'। সোমবার, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে কাছে বিজেপি নবান্ন অভিযান নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।