ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সৌমিক হোসেনকে সরাল তৃণমূল
ভোটের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভোটকক্ষে উপস্থিত হননি সৌমিক হোসেন। অনুপস্থিত ছিলেন আকও ৬জন কাউন্সিলরও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিনের দড়ি টানাটানি শেষ। ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সৌমিক হোসেনকে সরিয়ে দিল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সরগরম ছিল ডোমকল পৌরসভা। ২১জনের ডোমকল পৌরসভার বোর্ডে চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন ১৫ জন কাউন্সিলর। এদিন ছিল পৌরসভার আস্থা ভোট। কিন্তু ভোটের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভোটকক্ষে উপস্থিত হননি সৌমিক হোসেন। অনুপস্থিত ছিলেন বাকি ৬জন কাউন্সিলরও। বাকি ১৫ জন কাউন্সিলর সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। এরপরই তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমিক হোসেনকে।
কোন্নগরের নিগৃহীত অধ্যাপককে প্রণাম করে ক্ষমা চাইল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব
ডোমকল পৌরসভায় চেয়ারম্যান পদে সৌমিক হোসেনের বসার পর থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। তাঁর বাবা মান্নান হোসেন ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি, প্রকল্প বাস্তবায়নে দলীয় নীতির অবমাননার অভিযোগ ওঠে। বিরোধীপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টির মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয় না। গত ১৭ জুলাই সৌমিক হোসেনকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি তিনি। সৌমিক হোসেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পদত্যাগ করবেন না তিনি।
এরপরই পৌরসভার ১৫ জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ চাকির তলবি সভা ঢাকেন।১৫ জন কাউন্সিলরের অনাস্থার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদ খোয়ালেন সৌমিক হোসেন।