জাতীয় সড়ক - ৩৪-এর দুরবস্থার জন্য দায়ী কেন্দ্র, নামগোত্রহীন ব্যানার ঝুলল বারাসতে
এব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'কারা ব্যানার লাগিয়েছে তা জনগণ জানে। তাই আলাদা করে লেখার দরকার নেই। রাজ্য সরকারের তরফেই ব্যানার লাগানো হয়েছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লাগল হোর্ডিং। তাতে রাস্তার দুরবস্থার জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে জনগণের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। তবে হোর্ডিং নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন, হোর্ডিংয়ে একদিকে যেমন জ্বলজ্বল করছে ভুল বানান, তেমনই কারা হোর্ডিং লাগিয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই তাতে।
গত ৯ জানুয়ারি রানাঘাটের হবিবপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দুরবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তুমল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই রাস্তা। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যাতায়াতেরও লাইফলাইন এটি। সেই রাস্তা দিনের পর দিন বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'আমরা রাজ্যের অধীনে থাকা যাবতীয় সড়কের সংস্কার করেছি। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে। অথচ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারের নাম করছে না কেন্দ্রীয় সরকার।' মঞ্চ থেকেই নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর সিং ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রাস্তার পাশে কেন্দ্রের গা-ছাড়া ভাবের প্রতিবাদে হোর্ডিং লাগাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘অ্যাক্সিডেন্টাল পিএম-এর পাল্টা ডিজাস্টার পিএম ছবি হবে’, নাম না করে মোদীকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই শুক্রবার রাস্তার পাশে দেখা গেল সেই ব্যানার। বারাসতের ডাকবাংলো মোড়, রেল গেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার চোখে পড়ে। ব্যানারে লেখা, 'এই রাস্তাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI) কর্তৃপক্ষের অধীনে।' তার নীচে হলুদ অক্ষরে লেখা, 'আমরা দুঃখিত এই রাস্তার দুরাবস্থার জন্য'। একেবারে নীচে লেখা, 'বহুবার অনুরোধ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এই রাস্তা মেরামত করেনি, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি।' হোর্ডিংয়ের একেবারে বাঁ দিকে NHAI-এর বিশাল লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হোর্ডিংটি কারা প্রকাশ করেছে তার কোনও উল্লেখ নেই। হোর্ডিংয়ে ভুল 'দুরাবস্থা' বানানও হলুদ রঙে জ্বলজ্বল করছে। যা নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রসিকতা বহুল প্রচারিত।
"বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছেন মোদী"
এব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'কারা ব্যানার লাগিয়েছে তা জনগণ জানে। তাই আলাদা করে লেখার দরকার নেই। রাজ্য সরকারের তরফেই ব্যানার লাগানো হয়েছে।' তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ব্যানার রাজ্য সরকারের তরফে লাগানো হলে তার উল্লেখ নেই কেন? ব্যানারে NHAI-এর লোগো ব্যবহারের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি?