Burdwan: বর্ধমানে মিষ্টি হাবের ভবিষ্যৎ বিঁশ বাও জলে! দোকান খুলতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা
মিষ্টি হাবে দোকান খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের ১৫ দিন সময় দিয়েছিল প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ধমানে মিষ্টি হাব কবে চালু হবে? এবার বাদ সাধলেন ব্যবসায়ীরাই। জেলাশাসককে সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মুহুর্তে মিষ্টি হাব খোলার মতো পরিবেশ নেই। এমনকী, প্রশাসন যদি চায়, সেক্ষেত্রে দোকানের মালিকানা ফিরিয়ে দিতেও রাজি তাঁরা।
২০১৭ সালে পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে আসানসোলের। জেলাভাগের মঞ্চ থেকে পূর্ব বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বামচাঁদাইপুরে মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিষ্টি হাবটি চালুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যবসা তেমন জমেনি। ফলে একে একে ঝাঁপ হয়ে যায় মিষ্টির দোকানগুলির। এরপরও জেলা প্রশাসনের তরফে মিষ্টি হাবটিকে সচল রাখার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: "পরিচারিকা চাই" বিজ্ঞাপন দিয়ে অপহৃত বৃদ্ধ, নিজেদের পাতা ফাঁদেই জালে ২ পুরুষ-২ মহিলা
খোদ মুখ্যমন্ত্রী 'কড়া বার্তা'য় ফের নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ৬ মে নিজের দফতরে পুলিস সুপার, জেলা পরিষদ সভাধিপতি, বিধায়ক-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১৫ দিনের মধ্যে মিষ্টি হাবে দোকান খুলতে হবে ব্যবসায়ীদের। দোকান না খুললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার মিষ্টি হাবটি তুলে দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে।
আরও পড়ুন: Kharagpur Firing: বাইক রাখা নিয়ে বচসা, জানলা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে গুলি! গ্রেফতার ২
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা জানিয়েছিলেন, মিষ্টি হাবে সরকারি বাস দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাস থামানোর অনুরোধ করা হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদেরও। জাতীয় সড়ক থেকে মিষ্টি হাবে বাস ঢোকার জন্য ‘কাটিং’-এর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, এর আগেও দু'বার মিষ্টি হাবে বাস দাঁড় করানোর চেষ্টা হয়েছিল। জোর করে বাস দাঁড় করালেই যে ক্রেতা পাওয়া যাবে, সে নিশ্চয়তা নেই। বরং মিষ্টি হাবে এখন সেফ ল্যাব ও প্রিজার্ভ প্যাকেজিংয়েই জোর দেওয়া উচিত।