TET: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অস্থিরতার মধ্যেই আজ টেট রাজ্যে...

Teacher Eligibility Test in West Bengal: টেট নিয়ে আগাগোড়া তপ্ত রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার রাজ্যে টেট হচ্ছে। এদিকে ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন। দুই ঘটনার ঘনঘটায় উত্তপ্ত রবিবার।

Updated By: Dec 24, 2023, 11:47 AM IST
TET: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অস্থিরতার মধ্যেই আজ টেট রাজ্যে...
ফাইল চিত্র

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ মেগা রবিবার। আজ রাজ্যে একই সঙ্গে দুই বড় ইভেন্ট। একদিকে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, অন্যদিকে টেট পরীক্ষা। এই দুইয়ে মিলে ট্রেনে-বাসে ভিড়। পথেঘাটে লোকজনের সমাগম। যে ছবিটা ঠিক আর পাঁচটা রবিবারের সঙ্গে মেলে না। বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা যেমন ব্রিগেড ময়দানে যাচ্ছেন অপর দিকে টেট পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন বিভিন্ন সেন্টারে।

আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত! শীতের স্পেলে সাময়িক বিরতি বাংলায়?

২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁদের এখনও ইন্টারভিউ হয়নি, হয়নি চাকরিও। টেট নিয়ে আগাগোড়া তপ্ত রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার রাজ্যে টেট হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই আশা আর একরাশ অনিশ্চয়তার দোলাচলের মাঝেই আজ পরীক্ষার্থীরা হাজির হচ্ছেন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে পরেছে টেটে-র সিট। আর সেই মতো পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে হাজির পরিক্ষার্থীরা। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে পরাক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ মিটারেরে মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সারা রাজ্যের মতো বসিরহাটেও কড়া পুলিসি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গৃহীত হতে চলেছে টেট। বসিরহাট হরিমোহন দালাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টেট পরীক্ষা।   বায়োমেট্রিক ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে তারপর প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্র প্রবেশ করানো হচ্ছে। জেলার ও জেলার বাইরে থেকে বসিরহাট পরীক্ষাকেন্দ্রে আসছেন টেট পরীক্ষার্থীরা।

আসানসোলেও এক ছবি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৭ কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসছেন মোট ৩৩৩৭ জন পরীক্ষার্থী। ১২ টায় শুরু টেট। তবে সকাল দশটা থেকেই স্কুল-কলেজের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে সকলে। আসানসোল গার্লস কলেজ, বিবি কলেজ, ওল্ড স্টেশন-সহ সব পরীক্ষাকেন্দ্রে রয়েছে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা। অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকছেন পরীক্ষার্থীরা। মোবাইল, ব্লুটুথ, ঘড়ি-সহ কোনো রকম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে ঢোকা নিষেধ। দুর্গাপুরে চারটি স্কুল মিলিয়ে টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০০০। স্কুলের সামনে রয়েছে পুলিসি নিরাপত্তা। 

কাঁথিতেও সকাল থেকেই টেট পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের ভিড়। কাঁথি, এগরা, হলদিয়া, তমলুক-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্কুলে টেট দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা।  আজ বাসে ভিড় থাকলেও যানজট-সমস্যা নেই বলে জানাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। নির্বিঘ্নেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা। পুলিশ প্রশাসন তাঁদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলে জানাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ২৭৩ জন। পরীক্ষার সেন্টার পঞ্চান্নটি। নন্দীগ্রামের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে প্রায় ৬০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। পুলিস প্রশাসন বিদ্যুৎ দফতর ফায়ার ব্রিগেড পরিবহণ ব্যবস্থা-- সবই তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে জেলা জুড়ে। কোথাও কিছু সমস্যা না হলেও মহিলা পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একটা অসুবিধা ঘটছে। তাঁদের মেটাল জাতীয় গয়না ও সোয়েটার খুলতে হচ্ছে। তাতে তাঁরা অস্বস্তিতে পড়ছেন।

হুগলি জেলার ৩১ কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসছেন ১২১৫০ জন পরীক্ষার্থী। চুঁচুড়া ডাফ হাইস্কুলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০০ জন। সকাল দশটা থেকে স্কুলের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা। তার পর গেট খোলে। একে একে স্কুলে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। চুঁচুড়া মল্লিকবাটি পাঠাশালা, হুগলি কলিজিয়েট স্কুল, চন্দননগর কানাইলাল, কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির, ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির, শ্রীরামপুর গার্লস হাইস্কুল, রমেশচন্দ্র গার্লস, মাহেশ হাইস্কুল, জিরাট কলোনি হাইস্কুল-সহ সব পরীক্ষাকেন্দ্রে রয়েছে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা। অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারছেন পরীক্ষার্থীরা। মোবাইল, ব্লুটুথ, ঘড়ি-সহ কোনো রকম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে ঢোকায় নিষেধ রয়েছে প্রাথমিক পর্ষদের।

আলিপুরদুয়ারেও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। কড়া তল্লাশির মধ্যে দিয়ে তাঁদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হচ্ছে। কোনও ব্যাগ বা খাবার-- কিছুই সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। প্রত্যেককে বায়োমেট্রিক দিয়েই কেন্দ্রে প্রবেশ করার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময়সীমা থাকছে পরীক্ষার্থীদের জন্য।

রবিবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলাতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে টেট। জেলার মোট ২২ টি ভেনুতে এবার মোট ৬৪১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার ডি আই প্রাইমারি শ্যামলচন্দ্র রায়। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে রয়েছে কড়া পুলিসি প্রহরা।

পুরুলিয়াতেও চলেছে টেট-প্রস্তুতি। পুরুলিয়া জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৮৮০ জন। জেলার ৩৪টি পরীক্ষাগ্রহণকেন্দ্রে হবে টেট। প্রতিটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে রয়েছে কড়া পুলিসি নিরাপত্তা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষার্থীরা পৌঁছেছেন পরীক্ষাগ্রহণকেন্দ্রে। থাকছে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা। যাতে কোথাও কোনও রকম বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য তৎপর পুলিস প্রশাসন। সকাল থেকেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পরীক্ষার্থীরা। 

আরও পড়ুন: WB Weather: কুয়াশা যখন! কোথাও আমেজে মুগ্ধ পর্যটক, কোথাও বন্ধ যানবাহন...

কাটোয়াতেও এক ছবি। সকাল থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষার্থীদের ভিড়, সমস্ত রকম গাইডলাইন মেনে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কাটোয়ার পানুহাট রাজমহিষী দেবী হাইস্কুলে। সকাল থেকেই সেন্টারের বাইরে পরীক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সমস্ত রকম গাইডলাইন মেনে এক এক করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করানো শুরু হয়। গেটের সামনেই পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের মোতায়েন করা হয়েছে। চেকিং-পর্ব সেরে নির্দিষ্ট ক্রমসংখ্যা দেখে পরীক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এছাড়াও কাটোয়া শহরে মোট ৬ টি স্কুলে টেট পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.