মা ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ইসলামপুরে, আটক মৃতার স্বামী
স্থানীয় বাসিন্দা এবং মৃতার পরিবারের দাবি, স্ত্রী ও কন্যাকে মুন্নাই খুন করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মা ও মেয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর শহরের রামকৃষ্ণপল্লীতে। মৃত গৃহবধূর নাম ভারতী হাজরা (২৩) , শিশুকন্যা অনুষ্কা হাজরা (৩)। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায় স্ত্রী ও এক তিন বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মুন্না হাজরা নামে এক ব্যক্তি। ইসলামপুর নিয়ন্ত্রিত বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালান মুন্না।
আরও পড়ুন: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু এক মত্স্যজীবীর
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মত আজও সকালে চায়ের দোকানে যান মুন্না হাজরা, তবে এদিন তাঁর স্ত্রী না যাওয়ায় সন্দেহ হয় অনেকেরই। হঠাৎ-ই দোকান ফেলে বাড়ি ফিরে আসে মুন্না। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ফিরেই স্ত্রী এবং মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পায়। এরপর খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে আসেন রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক কানাইয়া লাল আগরওয়াল। পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিসও। এরপর মা ও মেয়ের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া বস্তিতে করোনা সংক্রমণ, মুচিবাজারে অশনি সংকেত
মৃতার স্বামী মুন্না হাজরাকে আটক করেছে পুলিস। ইসলামপুরের পুলিস সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এই সন্দেহে মৃতার স্বামী মুন্না হাজরাকে আটক করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান সবজি কাটার বঁটি দিয়ে মা ও মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারনেই এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও স্থানীয় এবং মৃতার পরিবারের দাবি, স্ত্রী ও কন্যাকে মুন্নাই খুন করেছে।