উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া বস্তিতে করোনা সংক্রমণ, মুচিবাজারে অশনি সংকেত

কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া মুচিবাজার জহরলাল দত্ত লেন বস্তিতে ৬ বস্তিবাসী করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে ২ জন মুচিবাজারে ফল ও সব্জি বিক্রেতা।

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Jun 13, 2020, 02:29 PM IST
উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া বস্তিতে করোনা সংক্রমণ, মুচিবাজারে অশনি সংকেত
ছবি- অয়ন ঘোষাল

নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরমন্ত্রী বলেছিলেন বস্তির তুলনায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বহুতলে। কিন্তু বাস্তবে ধরা পড়ল একেবারেই ভিন্ন ছবি।
কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উল্টোডাঙা স্টেশন লাগোয়া মুচিবাজার জহরলাল দত্ত লেন বস্তিতে ৬ বস্তিবাসী করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে ২ জন মুচিবাজারে ফল ও সব্জি বিক্রেতা।
 শনিবার এই খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বাজার খোলা রয়েছে, তবে ক্রেতা বিক্রেতা সকলের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, বস্তির তুলনায় বহুতলে সংক্রমণের প্রকোপ বেশি । গোষ্ঠী সংক্রমণের উদাহরণও কম । এই বক্তব্যের পরেই উল্টোডাঙার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে পুর কর্তাদের। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় মুচিবাজারের ১০০জন বিক্রেতার লালারস সংগ্রহ করতে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালের ৬সদস্যের মেডিকেল টিম । সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের টিম। রয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর অনিন্দ্যকিশোর রাউতও।
এলাকাবাসীরা অযথা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে ব্যাপারেও সচেতন করা হচ্ছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাতে বলা আছে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের নিয়ে ওতটাও চিন্তার কারণ নেই। তাই এখন থেকে উপসর্গ না থাকলে আর করোনা পরীক্ষা করা হবে না সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যেহেতু আক্রান্ত দের বড় অংশের উপসর্গ থাকে এবং প্রতিদিন প্রচুর মানুষের টেস্ট করতে হচ্ছে ফলে এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে রাজ্যে হানা ডেঙ্গির! ল্যাবগুলিতে চাপ কমাতে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের
পরিযায়ী  শ্রমিকরা আসার পর আক্রান্ত র সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। কলকাতা-সহ কোনও কোনও জেলায় তিনগুন বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এমন যে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেনটাইন সেন্টারে ১৪ দিন রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাদের  ৭দিন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। বাকি সাতদিন হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।
তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

.