জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গায় BJP কর্মীর ওপর হামলা, কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ TMCর বিরুদ্ধে
দুটি ঘটনাতেই অভিযোগ তৃণমূলের দিকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দুটি পৃথক জায়গায় আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। দুটি ঘটনাতেই অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় পাদ্রীকুঠি এলাকায়। এদিন দলীয় পার্টি অফিসের সামনে হোলি খেলছিলেনত বিজেপি কর্মীরা।
অভিযোগ, তাঁদের উপর কৃষ্ণ দাস, প্রধান হেমব্রমের নেতৃত্বে অস্ত্র, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। কান কেটে যায় ৩৫ বছরের রাজীব রায়ের। মাথায় কোপ লাগে। লাঠির আঘাতে শরীরে কালশিটে দাগ পড়ে যায় ওই কর্মীর। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে।
আরও পড়ুন: নাইট ডিউটির ক্লান্তি চালকের, গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘুমে ঢুলে পড়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা
প্রথম ঘটনায় বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, 'আমাদের কর্মীরা দোল খেলছিল। তাদের উপর কৃষ্ণ দাস তাঁর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। কর্মীরা অভিযুক্ত দশ জনকে চিনতে পেরেছে। তাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি।' দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলেও জানান তিনি।
১০ জন তৃণমূল নেতার নামে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় নিজেরা মারামারি করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা।
অন্যদিকে, ব্রহ্মতল পাড়ায় পতাকা লাগানোর সময় রবি রায় নামে ২৫ বছরের এক বিজেপি কর্মীর মাথায় লাঠির বাড়ি মারে তৃণমূল বলে অভিযোগ। ঘটনায় তাঁর মাথা ফেটে যায়। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। মাথায় ১৮টি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনাতেও থানা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিস।