দলীয় কার্যালয়ে হামলা, তৃণমূল নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন খানাকুলে

রবিবার খানাকুলে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Updated By: Jun 16, 2019, 07:00 AM IST
দলীয় কার্যালয়ে হামলা, তৃণমূল নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন খানাকুলে

নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের পর রাতে হুগলির খানাকুল। খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। দলীয় কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন-আমার সঙ্গে কথা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার দাবি খণ্ডন করে বিবৃতি জারি রাজ্যপাল

শনিবার সন্ধেয় খানাকুলের হরিশচকে তৃণমূল কার্যালয়ে বসেছিলেন খানাকুল ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মনোরঞ্জন পাত্র(৫৬)। সে সময় কিছু লোক এসে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় দলীয় কার্যালয়ের কিছুটা দূরে ফাঁকা মাঠের মধ্যে।

রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় মনোরঞ্জনকে খুঁজতে বের হন বাড়ির লোকজন। এর মধ্যেই এলাকার লোকজন মাঠের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে আত্মীয়দের খবর দেন। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে খানাকুল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কিচিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই খুনের সঙ্গে জড়িত। বিজেপি অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন-উত্তেজনার বশে নয়, সংগঠিত ও পরিকল্পিত হামলা,মমতার দাবি খারিজ জুনিয়র ডাক্তারদের  

এদিকে রাতেই আরামবাগে আসার কথা তৃণমূলের আরামবাগের দায়িত্বে থাকা দিলীপ যাদবের। রবিবার খানাকুলে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে পুলিসি নিষ্কৃীয়তার প্রতিবাদে খানাকুল থানায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ডোমকলের কুচিয়ামোড়ায় খুন হন এলাকায় নিহত তৃণমূল নেতা আলতাফ সেখের দুই আত্মীয়। এদিন সাতসকালেই বোমাবাজি ও গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায় গ্রামে। দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে খুন করে আলতাফ সেখের ছেলে সোহেল রানা ও দাদা খইরুদ্দিন সেখকে।

.