৩দিনে খাঁচাবন্দি ২টি বিরাটাকার চিতাবাঘ, চা বাগানের শ্রমিকদের চোখে মুখে স্বস্তি
শিকেয় উঠেছে করোনাবিধি, খাঁচাবন্দি চিতা বাঘ দেখতে মালবাজারে মানাবাড়ি চা-বাগানে ভোর বেলা থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত তিন দিনে দুটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি। তবে এবার বিরাট আকারের চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। খাঁচায় দাপাদাপিতে আহতও হয়েছে সে। দুদিন আগেই মালবাজার মহকুমার মানাবাড়ি চাবাগান একটি সাব অ্যাডাল্ট স্ত্রী চিতাবাঘকে বন্দী করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে একই জায়গায় ধরা পড়ল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ।
শিকেয় উঠেছে করোনাবিধি, খাঁচাবন্দি চিতা বাঘ দেখতে মালবাজারে মানাবাড়ি চা-বাগানে ভোর বেলা থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। মানুষের ভিড়ের জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে খাঁচার মধ্যে দাপাদাপি করতে থাকে চিতাবাঘটি। আর এতেই রক্তাক্ত হয় সে, এমনটাই জানিয়েছে বনদফতর কর্মীরা।
আরও পড়ুন: একটা পাগল ভিসি, তোকে পরে দেখব, আলোচনাসভা বিতর্কে হুঁশিয়ারি Anubrata-র
খবর পাওয়া মাত্র ঘটনা স্থলে পৌঁছয় চাবাগানের পরিচালক এবং মালবাজার ওয়াল্ড লাইফের বনকর্মীরা। চা বাগানের পরিচালক রাজীব চক্রবর্তী বলেন, এই নিয়ে গত তিন দিনে দুটি চিতাবাঘ একই জায়গায় থেকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে আরও চিতাবাঘ রয়েছে এই বাগানে। দুটি চিতাবাঘ ধরা পড়ায় অবশ্যই চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
আরও পড়ুন:ক্লান্তি ও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু দুই এভারেস্ট অভিযাত্রীর
মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা বলেন এই চিতাবাঘটি বেশ বড়। দুদিন আগেই এই বাগানে আর একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। আহত চিতা বাঘের লাটাগুড়ি এন আই সি তে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে। সুস্থ্য থাকলে গরুমাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, চিতাবাঘের উৎপাতে চা-বাগানে কাজ করতে ভয় পাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও চিতাবাঘটিকে ধরা যাচ্ছিল না।