Bardhaman: লো প্রসারে এভাবে কেউ মরতে পারে! বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুতে প্রবল বিক্ষোভ পরিবারের
পরিবারের আরও অভিযোগ, রবিবার সকালে হঠাৎই ভাতার থানা থেকে তাদের ফোনে জানান হয় ; আসামী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তারা জানতে পারেন তার মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য ; হঠাৎই কেউ লো প্রেসারে এভাবে মরে যেতে পারে না
পার্থ চৌধুরী: বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সময়মত বাড়িতে খবরই দেওয়া হয়নি। মৃত বন্দির নাম শেখ মোশাররফ হোসেন ওরফে চাঁদ। তার দুই ভাই শেখ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও কবীর হাসান জানান; তাদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ধরমপুর গ্রামে। গত ৩ অক্টোবর চাঁদ বর্ধমানে ঠাকুর দেখতে এসেছিল। সে সময় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিস একটি চুরির কেসে তাকে গ্রেফতার করে। আদালতে তোলার আগে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা জানান ; আদালতে এবং জেল হেফাজতে কোনও অসুস্থতা তার ছিল না।
আরও পড়ুন-SSC: এভাবে ফুটপাতে বসতে হবে ভাবিনি, লক্ষ্মী সেজে ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে চাকরি প্রার্থীরা
পরিবারের আরও অভিযোগ, রবিবার সকালে হঠাৎই ভাতার থানা থেকে তাদের ফোনে জানান হয় ; আসামী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তারা জানতে পারেন তার মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য ; হঠাৎই কেউ লো প্রেসারে এভাবে মরে যেতে পারে না। যদি তাই হবে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তাদের খবর দেওয়া হয়নি কেন? পরিবারের লোকজন আজ বর্ধমানে এসে হাসপাতালের সেলে যান। সেখানে না দেখতে পেয়ে তারা বর্ধমান থানায় এসে জেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাদের ধারনা ; আসামীকে মারধর করা হয়ে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছেন মৃতের পরিবার।
মৃতের খুড়তুতো ভাই জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, জেল হেফাজতে থেকে কীভাবে ওর মৃত্যু হল বুঝতে পারছি না। ওকে তো ছোটবেলা থেকে দেখছি। কীভাবে একটা তরতাজা ছেলে এভাবে কীভাবে মারা যেতে পারে? আমাদের সন্দেহ, টর্চার করার ফলে কিছু একটা হয়েছিল। তার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। পরশু দিন ভাইকে ও বলেছিল আমাকে এখান থেকে নিয়ে চল। না হলে এখানে আমাকে মেরে দেবে। তাই আমরা চাইছি এই মৃত্যুর একটা তদন্ত হোক। এসআই আমাদের বলেছেন, এটা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন ময়না তদন্ত হবে। সেটির ভিডিয়োগ্রাফিও হবে। এনিয়ে আমরা অভিযোগ করব।