মায়ের বকুনি খেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দিয়েছিল ছাত্রী, তারপরই মেসেজ পাঠাল ‘মোমো’
জলপাইগুড়ির পি ডি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কবিতা রায়ের সঙ্গে সোমবার রাতে তার বোনের ঝগড়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়িতে বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। সেজন্য মায়ের বকুনিও খেতে হয়েছিল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে। রাগ-দুঃখে মনের কথা লিখেছিল হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে। লিখেছিল, ‘আমি মরে যাবো...’আর তা লেখা মাত্রই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাল ‘মোমো’। ‘মোমো’ঠিক কী? ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে কী-ই বা বলল সে? জলপাইগুড়ির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জলপাইগুড়ির পি ডি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কবিতা রায়ের সঙ্গে সোমবার রাতে তার বোনের ঝগড়া হয়। বোনের সাথে কেন ঝগড়া করছে, সে জন্য মায়ের কাছে বকা খায় কবিতা। মা তাকে চড়ও মারে। এরপরই কবিতা নিজের ঘরে চলে যায়। মায়ের ওপর অভিমান করে নিজের হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দেয় ‘আমি মরে যাবো।’
আরও পড়ুন: বৌদি বলেছিলেন জানিয়ে দেবে সব কথা, ভয়েই আত্মঘাতী ‘দেওর’
হোয়াটসঅ্যাপে এই স্টেটাস দেওয়ার ঠিক তিন মিনিটের মধ্যেই তার কাছে অদ্ভূত একটি নম্বর থেকে মেসেজ আসে। +1(251)999-5451 এই নং থেকে মেসেজ আসে। লেখা হয় ‘হাই আই অ্যাম মোমো।’ছাত্রীটি তখন উত্তর দেয়, ‘হু’, এরপরই ওই নম্বর থেকে উত্তর আসে, ‘ইটস মাই নেম, স্যাল উই প্লে আ গেম?’
আরও পড়ুন: শিক্ষিকার বাড়ি জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই প্রতিবেশী ভাড়াটে যুবককে যে অবস্থায় দেখলেন...
এরপর ওই ছাত্রী আর কোনও উত্তর দেয়নি। বিষয়টি তারা বাবা-মাকে জানায়। এটি কোনও মারণ গেম কিনা, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছাত্রীর পরিবার। সোমবার রাতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় যান কবিতা। বিষয়টি পুলিসকে সব জানায়।
আরও পড়ুন: জেলাশাসকের দফতরে মাটিতে বসে সরকারি কর্মী, প্রশ্ন করতেই যা জানালেন...সরকারি দফতরে এমনও হয়!
‘মোমো’সত্যিই কোনও মারণ গেম কিনা, তা ভাবাচ্ছে পুলিসকেও। 'মোমো'তে ফিরছে ব্লু হোয়েলের আতঙ্ক। মারণ গেমের নম্বরটি খতিয়ে দেখছে পুলিস। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পূর্নাঙ্গ তদন্ত হবে।’