যোগীরাজ্যে অমিল অক্সিজেন-বেড, বাংলায় এসে ২ সপ্তাহের চিকিত্সায় Covid-মুক্ত লালজি যাদব
লালজির খবর জি ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশ হওয়ার পরই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দেওয়া হয় রেমডিসিভির
নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সিজেনের অভাব, বেড না পেয়ে ঠিক মতো চিকিত্সা হচ্ছিল না। কোনও ঝুঁকি নেননি লালজি যাদব ও রেখা যাদব। সুদুর উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা থেকে ৬০ হাজার টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে চিকিত্সার জন্য এসে ভর্তি হয়েছিলেন চুঁচুড়ার একটি হসাপাতালে। প্রায় দুসপ্তাহ চিকিত্সায় সুস্থ লালজি এখন ফিরছেন নিজের ঘরে।
আরও পড়ুন-মাদার্স ডে; ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে
রেখা যাদবের অবস্থা ততটা খারাপ না হলেও লালজির অবস্থা ছিল বেশ আশঙাজনক। চিকিত্সা শুরু হয় চুঁচুড়ার অজন্তা সেবাসদনে। হাই ফ্লো অক্সিজেনে টানা চিকিত্সা হয় এই হাসপাতালে। দেশের সর্বত্র রেমডিসিভিরের(Remdisivr) অভাব। লালজির খবর জি ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশ হওয়ার পরই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দেওয়া হয় রেমডিসিভির। প্রায় চৌদ্দ দিনের চিকিত্সায় সুস্থ হলেন লালজি।
সুস্থ হয়ে লালজি বলেন, খুব ভালো পরিষেবা পেয়েছি। হাসপাতালের চিকিত্সক, চিকিত্সা কর্মীদের ধন্যবাদ। অন্যদিকে, সুস্থ অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের এই বাসিন্দাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি হাসপাতালের কর্মীরাও। মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হল লালজিকে। খুশি পরিজনরাও। হাসপাতালের তরফে বলা হয়, এটি আমাদের রাজ্যের জয়। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জয় বলব। উনি আশা নিয়ে এই অজন্তা সেবাসদনে এসেছিলেন। সেই আশা আমরা পূরণ করতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল অযোধ্যার(Ayodha) থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ২৬ এপ্রিল চুঁচুড়ার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন লালজি। যোগী রাজ্যে সেসময় অক্সিজেনের(Oxygen) সঙ্কট চলছিল। বেশ কয়েকটি নার্সিং হোম ও সরকারি হাসপাতালে কথা বলেও কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি। এর পরই তাঁরা যোগাযোগ করেন মগরায় তাঁদের এক আত্মীয়ের সঙ্গে। তিনি তাঁদের বাংলায় চলে আসতে বলেন।
আত্মীয়ের কথা মতো গত বৃহস্পতিবার ৬০ হাজার টাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে চুঁচুড়ার দিকে রওনা দেন লালজি ও রেখা যাদব। ভর্তি হন চুঁচুড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁদের চিকিত্সা শুরু হয়।
আরও পড়ুন-ভুটানে এ পর্যন্ত করোনা-মৃতের সংখ্যা ১!
রোগীর আত্মীয় রবিশঙ্কর যাদব সে দিন জানিয়েছিলেন, ওখানে জামাইবাবুর ঠিকমতো চিকিত্সা হবে না। অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। সেই ভয়ে ওরা কান্নাকাটি করে ফোন করে। তখনই ওদের বলি এখানে চলে আসতে। ওরা তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে এখানে চলে আসে। শুক্রবার এখানে অজন্তা হাসপাতালে ভর্তি নিয়েছে। ওরা খুবই সাহায্য করছেন। ওখানকার হাসপাতালে কোনও সুরাহাই হচ্ছিল না। উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের অভাব তো রয়েইছে, চিকিত্সাও ঠিকমতো হচ্ছিল না।