Bankura: খারাপ সামগ্রী দিয়ে তৈরি! হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সাত ফুটের ট্যাঙ্ক, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত...
Bankura: তৈরির ১০ দিনের মাথায় ভেঙ্গে পড়ল গ্রামে জল সরবরাহের ওভারহেড টাঙ্কি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবী তুলে সরব এলাকাবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চূড়ামনিপুর গ্রামে।
মৃত্যুঞ্জয় দাস: তৈরির দশ দিনের মাথায় জল ভরতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গ্রামে জল সরবরাহের ওভারহেড টাঙ্কি। অল্পের জন্য বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচলেন স্থানীয় এক গ্রামবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার(Bankura) ওন্দা ব্লকের চূড়ামনিপুর গ্রামের এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগসাজসে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে টাঙ্কি করাতেই এই বিপত্তি বলে দাবি স্থানীয় মানুষদের। পাশাপাশি ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন- Malbazar: বনবস্তিতে ঢুকে পড়ল বুনো হাতি! প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন এক স্থানীয়...
গ্রামের জলসঙ্কট মেটাতে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামনিপুর গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে ওভারহেড ট্যাঙ্ক ভর্তি করে তা দিয়ে জলসরবরাহের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সম্প্রতি বরাত পেয়ে গ্রামের মাঝে দুর্গামন্দির সংলগ্ন জায়গায় গভীর নলকূপ খনন করে পাশেই এক হাজার লিটারের ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানো হয়। প্রায় সাত ফুট উঁচু পাকা নির্মাণের উপর এক হাজার লিটারের সিন্থেটিক ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ শেষ হয় দিন দশ আগে। পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার।
শনিবার বরাত পাওয়া ঠিকাদার ওই ট্যাঙ্কে প্রথম জল ভর্তি করার কথা বলেন গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারের কথামতো সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ট্যাঙ্ক সমেত পাকা সাত ফুটের নির্মান ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় ট্যাঙ্কের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন চুড়ামনিপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চট্টোপাধ্যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এদিকে এই ঘটনার পরই এলাকার বাসিন্দা ওই ঠিকাদারের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই ট্যাঙ্ক নির্মানের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই গোপনীয়তা রেখে চলেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বারবার জানতে চাওয়া সত্ত্বেও কোন প্রকল্পের কত টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তা গ্রামবাসীদের জানায়নি গ্রাম পঞ্চায়েত। স্বাভাবিক ভাবেই গ্রামবাসীদের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগসাজসে ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ করাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে। ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে স্থানীয় নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।