WB Panchayat Election 2023: দিনভর সংঘর্ষ-ভাঙচুর, রাতে তৃণমূলে যোগ আইএসএফ-সিপিএমের ৬ প্রার্থীর
WB Panchayat Election 2023: ওইসব আইএসএফ ও সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদানের ফলে কৃষ্ণপুরের নির্বাচন বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ল। এনিয়ে আইএসএফ ও সিপিএমের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, সিপিএমের উস্কানিতে এলাকার কয়েকজনকে বুল বুঝিয়ে কৃষ্ণপুর এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছিল ওরা
চম্পক দত্ত: রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুর এলাকায় আহত হন ১০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ছুটে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। সন্ধে নামতেই বদলে গেল পরিস্থিতি। আইএসএফ ও সিপিএমের ৬ প্রার্থী-সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক যোগদান করলেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন-রবিবাসরীয় প্রচারে ধুন্ধুমার, রাজ্যজুড়ে সংঘর্ষ শাসক-বিরোধীর
তৃণমূলের অভিযোগ রবিবার সকালে তৃণমূলের এক প্রার্থী কৃষ্ণপুর এলাকায় প্রচার করতে যাওয়ার সময়, তাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় আইএসএফ কর্মীরা। আর তার থেকেই এই ঘটনা সুত্রপাত। আইএসএফ এর অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা একত্রিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে য়ায় দোকানপাট। কিন্তু সন্ধেয় পরিস্থিতি একেবারে উল্টো দিকে ঘুরে যায়।
রবিবার সন্ধায় কৃষ্ণপুরে ভগবন্তপুর ১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির হাত ধরে আইএসএফ ও সিপিএমের ৬ প্রার্থী সমেত প্রায় একশো ওই দুই দলের কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলে যোগদানকারী আইএসএফ প্রার্থী নাজিরা বিবি বলেন, আগে আমরা তৃণমূলই করতাম। ভুল বুঝে অন্য দলের প্রার্থী হয়েছিলাম। ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরে এসেছি। সিপিএম প্রার্থী সাকিলা খাতুন বলেন, দিদির উন্নয়ন ভালো দেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। অনেকে মাথা খেয়েছিল। তাই ভয়ে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলাম। এখন কোনও ভয় নেই। সবাই পাশে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওইসব আইএসএফ ও সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদানের ফলে কৃষ্ণপুরের নির্বাচন বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ল। এনিয়ে আইএসএফ ও সিপিএমের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, সিপিএমের উস্কানিতে এলাকার কয়েকজনকে ভুল বুঝিয়ে কৃষ্ণপুর এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছিল ওরা। ভুল বুঝতে পেরে আইএসএফ ও সিপিএম প্রার্থী-সহ কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে জোরের কোনও ব্যাপার নেই। ওরা এসে বলে আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা দিন। আমরা তৃণমূলে যোগ দেবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছি। সিপিএমের মদতে আমাদের ভুল বোঝানো হচ্ছিল। যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন ও পঞ্চায়েত সমিতির ৫ প্রার্থী।