WB Panchayat Election 2023: 'না, ভোট দেব না আমরা, ভোট দিতে গেলেই মারবে আমাদের!' আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা...
WB Panchayat Election 2023: রাতে পুলিস এসে গ্রামের ছেলেদের ধরে নিয়ে গিয়েছে, দরজা ভাঙচুর করেছে। আমাদের ভোট দিতে যেতে বারণ করা হয়েছে পার্টির পক্ষ থেকে, তাই আমরা ভোট দিতে যাব না। ক্ষোভের ছবি পুনর্নির্বাচনের দিনেও।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: 'না, ভোট দেব না'! হ্যাঁ, স্পষ্ট ভাবে এ কথাই বলছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৪২-ডাহুকা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। ভোটের দিন চরম অশান্তি হয়েছিল এ গ্রামে। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে এখানে ভোটবাক্সে জল ঢেলে দেওয়া হয়েছিল, তাই পুননির্বাচন হচ্ছে। উল্লেখ্য, জেলায় মোট ৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে।
এই গ্রামের বাসিন্দা উমা বাউরী বলেন, আমরা পাড়ার সবাই ঠিক করেছি, আমরা কেউ ভোট দিতে যাব না। রাতে পুলিস এসে গ্রামের ছেলেদের ধরে নিয়ে গিয়েছে, দরজা ভাঙচুর করেছে। আমাদের ভোট দিতে যেতে বারণ করা হয়েছে পার্টির পক্ষ থেকে, তাই আমরা ভোট দিতে যাব না। ভোটদানের জন্য প্রশাসনের সেই রকম উদ্যোগ নেই বলেই অভিযোগ। ওই গ্রামেরই বাসিন্দারা বলেন, ভোটের দিনে তিন বার ভোট দিতে গিয়েছি, দিতে পারিনি। বাইরে থেকে অনেক লোক এসে মারামারি ঝামেলা করেছে। ভোটবাক্সে জল ঢেলে দিয়েছে ওই বাইরের লোকগুলিই। ভোট দিতে গেলে আমাদের মারবে। তাই ভয় হচ্ছে, যাব না ভোট দিতে।
জামুরিয়া ব্লকের বিডিও জিষ্ণু দে ফোনে বলেন, রাতে মাইকিং হয়েছে, সকালেও মাইকিং করা হয়েছে, সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৮ জুলাই রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু সেদিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল। বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বহু জায়গায় ভোটগ্রহণ সম্ভবই হয়নি। বহু জায়গায় ভোটগ্রহণ অবাধ ও নির্বিবাদে হয়নি বলে, পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিও ওঠে। সেই সব দাবি মেনে রবিবার সন্ধের পরে কমিশনের তরফে জানানো হয়, সোমবার মোট ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। সোমবার সকাল ৭টা থেকেই শুরু হবে ভোটগ্রহণ। প্রতি বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: বাহিনীর নিরাপত্তায় মাল, মেটেলি, নাগরাকাটায় নির্বিঘ্নে শুরু ভোটগ্রহণ...
সবচেয়ে বেশি পুনর্নির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদে। সেখানে মোট ১৭৫টি বুথে ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদের পাশের জেলা মালদহ। সেই জেলায় মোট ১০৯টি বুথে ফের ভোট নেওয়া হবে। এর পরেই নদীয়া, সেখানে ৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ। এছাড়াও বেশি সংখ্যক বুথে (৪৬) ভোট নেওয়া হবে উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও। এই তালিকাতেই রয়েছে উত্তর দিনাজপুর (৪২), দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (৩৬) জেলাও।