গুরুংয়ের সঙ্গে শুধু ভোটের সম্পর্ক, দূরত্ব বাড়িয়ে বললেন দিলীপ
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিমল গুরুংকে ঘাড় থেকে নামানোর চেষ্টায় বিজেপি। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিমল গুরুংকে ঘাড় থেকে নামানোর চেষ্টায় বিজেপি। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
শুক্রবারই গুরুংয়ের সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর দিনই গুরুংকে নিয়ে সুর বদলালেন দিলীপ। এদিন তিনি বলেন, গুরুংয়ের সঙ্গে আমাদের শুধু নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছিল। আইন আইনের পথেই চলবে।
যদিও গত জুনে রাজ্যের সঙ্গে গুরুংয়ের সংঘাত চরমে পৌঁছতে পাহাড়ি নেতার পাশেই দাঁড়িয়েছিল বিজেপি। গুরুংই পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ।
শুক্রবার নতুন করে বিপাকে পড়েন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমো বিমল গুরুং। তাঁর সিবিআই তদন্তের দাবির আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগে তদন্ত করবে রাজ্য পুলিসই।
আরও পড়ুন - বাংলাদেশের পারফর্মেন্সের প্রশংসা করে প্রশ্নের মুখে বিগ বি
তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দায়ের করা যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিমল গুরুং। দেশদ্রোহিতা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক গুরুতর ধারায় গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিস। গুরুংয়ের দাবি, রাজ্য পুলিসের দায়ের করা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই তারা তদন্ত করলে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। তদন্তে নিরপেক্ষতার স্বার্থে মামলাগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।
গুরুংয়ের এই অভিযোগ যদিও কানে তোলেননি বিচারপতি। রায়ে তিনি জানিয়েছেন, গুরুংয়ের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে নিয়ম মেনেই। তার পরও এসব যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি অত্যন্ত গুরুতর। এক্ষেত্রে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
ওদিকে আদালতের রায়ের পরই গুরুংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার শিলিগুড়িতে মমতা - চামলিং বৈঠকের পর আদালতের