CISF জওয়ানদের ঘিরে ধরেছিল প্রায় ১৫০ জনের দল, শূন্যে গুলিতেও কাজ হয়নি
শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ঠিক কি হয়েছিল? কী কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হল সিআইএসএফ? কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিস সুপার দেবাশিস ধরের কথায়,'বাহিনীর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। তখন গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।' গোটা ঘটনাক্রম বিবৃতি দিয়ে জানাল সিআরপিএফ। তাদের বক্তব্য,'শূন্যে গুলি চালানোর পরেও উন্মত্ত জনতাকে ঠেকানো যায়নি। সে কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।'
শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) গুলি চালিয়েছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। সিআরপিএফ (CRPF) বিবৃতি অনুযায়ী,'আজ সকালে ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ১২৬ নম্বর সিআইএসএফের কিউআরটি-র (Quick Reaction Team) উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কয় কমান্ডার সুনীল কুমারের নেতৃত্বাধীন দলকে আক্রমণ করে ৫০-৬০ জন। ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছিল তারা। কিউআরটি-র গাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। জওয়ানদের উপরেও চলে হামলা। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আত্মরক্ষায় ৬ রাউন্ড গুলি চালায় কিউআরটি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সিআইএসএফের ডিসি অ্যাডহক কমান্ডান্ট দীপক কুমার।'
তখনকার মতো ঘটনা মিটে গেলেও পরে দেড়শো জনের আর একটি হামলা করে ১৮৬ নম্বর বুথে। সিআরপিএফ-র (CRPF) দাবি,'বুথের দায়িত্বে থাকা হোমগার্ড ও আশা কর্মীকে মারধর করে উন্মত্ত জনতা। বুথে ঢুকে ভোটকর্মীদের মারধর করা হয়। কয়েকজন সিআইএসএফ জওয়ানদের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। শূন্যে দু'রাউন্ড গুলি ছোড়েন জওয়ানরা। কাজ হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআইএসএফের কিউআরটি। প্রাণ বাঁচাতে ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়েন জওয়ানরা। ছত্রভঙ্গ নয় জনতা। পৌঁছয় পুলিস। ৫-৬ জন দুষ্কৃতীর চোট লাগে। পরে মৃত্যু হয়।'
কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিস সুপার দেবাশিস ধর বলেন,'সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলছিল। ভোটের লাইনে ব্যক্তি সংজ্ঞা হারান। সিআইএসএফ মারধর করেছে বলে গুজব রটে যায়। অস্ত্র নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো লোক চলে আসে। জওয়ানদের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। রাইফেল ছিনিয়ে বুথের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তখন সিআইএসএফ গুলি চালায়।'