বিহারে থেকে ভেসে আসতে পারে শবদেহ, মালদহ জেলাকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্য প্রশাসনের
পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি অ্য়াকশন প্ল্যান তৈরি করল রাজ্য প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারের বক্সার ও উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে শয়ে শয়ে মরদেহ। ওইসব শবদেহকে করোনা রোগীদের বলেই এখনও পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে। তবে তদন্তে তা এখনও প্রমাণ হয়নি। কিন্তু বিহার ও উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় ভাসতে থাকা মৃতদেহ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি অ্য়াকশন প্ল্যান তৈরি করল রাজ্য প্রশাসন।
আরও পড়ুন-অক্সিজেন সঙ্কট চরমে, সমস্যা মেটাতে সস্তার Oxygen Concentrator বানালেন দুর্গাপুরের অধ্যাপক
রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে মালদহ জেলাকে এইমর্মে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এই জেলাই রাজ্যে গঙ্গার এন্ট্রি পয়েন্ট। অন্যান্য যেসব জেলার উপর দিয়ে গঙ্গা বয়ে গিয়েছে সেইসব জেলাকেও সতর্ক করা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের পরিকল্পনা
** গঙ্গায় কোনও মৃতদেহ ঝাড়খণ্ড থেকে ভেসে আসছে কিনা তা খুঁজে বের করতে DM/SP/CMOH-কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। নৌকো, জাল ও বাঁশ নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
** গঙ্গা দিয়ে রাজ্যে ওইসব শবদেহ রাজ্যে ঢোকার প্রথম পয়েন্ট হল মালদহের(Malda) মানিকচক ঘাট। ওই এলাকায় গঙ্গা প্রায় ১ কিলোমিটার চওড়া। ফলে কড়া নজর রাখতে হবে।
** মালদহের সব বিডিওয়ে বলা বলা হয়েছে নদীর ধারে কোনও জায়গা খুঁজে রাখতে যাতে সেখানে লাশ সমাধিস্ত করা যায়।
আরও পড়ুন-Rose-tinted চশমাটা খুলে দেখুন; দেশের তীব্র কোভিড সঙ্কট নিয়ে মোদীকে কড়া আক্রমণ রাহুলের
** মানিকচক ঘাট থেকে ফরাক্কা(Farakka) ব্যারেজ ২২ কিলোমিটার নীচের দিকে। তাই ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকেও এনিয়ে আগে থেকে সতর্ক করে রাখতে হবে যাতে কোনও মৃতদেহ লকগেট পার করে চলে না যায়।
** গঙ্গা লাগোয়া জেলার সব থানাকে এনিয়ে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনও মৃতদেহ দেখা গেলে তা তুলে নেওয়া য়ায়।
** মালদহের জেলা শাসকের কাছ থেকে ওইসব কাজের জন্য কোনও তহবিল চাওয়া হলে তা দেওয়া হবে।
এদিকে মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিহার থেকে গঙ্গায় লাশ ভেসে আসতে পারে এই আশঙ্কায় গঙ্গার তীরবর্তী সংশ্লিষ্ট ব্লক আধিকারিকদের নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত মানিকচক, কালিয়াচক ২ ও ৩ নং ব্লক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার নদীতীরবর্তী স্থানগুলিতে ১০-১২টি নৌকার মাধ্যমে নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীতে যারা মাছ ধরতে যান ও নৌকা পারাপার করান তাদেরকে জানানো হয়েছে গঙ্গায় যদি কোন মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় তৎক্ষণাৎ যেন সংলিষ্ট থানা বা ব্লক দপ্তরে খবর দেওয়া হয়।