জামিন খুনির! খবর পেয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর
এলাকার মানুষের দাবি নিহত কাউন্সিলরকে যে খুন করেছে তাঁকে ১৬৫ দিনের মাথায় কেন ছেড়ে দেওয়া হল। এই নিয়েই গতকাল বার বার আন্দোলন করে তারা। এরপরেই আসরে নামেন নির্মল ঘোষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্তের জামিন। পরিবারের দাবি ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে নিহতের স্ত্রী এবং বর্তমান কাউন্সিলর মীনাক্ষি দত্ত। কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত জামিন পাওয়ায় পুলিসের ভুমকায় অসন্তোষ প্রকাশ স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের। গত ১৩ মার্চ গুলি করে খুন করা হয় কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। ছয় মাস পড়ে জামিন পান অভিযুক্ত প্রসেনজিত অরফে বাপি পন্ডিত। খবর আসতেই এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। রাতে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করা হয় বিটি রোড। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এলাকার পরিস্থিতি জটিল হয়ে রয়েছে।
এলাকার মানুষের দাবি নিহত কাউন্সিলরকে যে খুন করেছে তাঁকে ১৬৫ দিনের মাথায় কেন ছেড়ে দেওয়া হল। এই নিয়েই গতকাল বার বার আন্দোলন করে তারা। এরপরেই আসরে নামেন নির্মল ঘোষ। এই আন্দোলন চলাকালীন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী তার বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন। তার মা এই খবর দিলে আন্দোলনকারিরা তার বাড়ির দিকে যায় এবং দরজা ভেঙে তাঁকে আটকানো হয়।
পানিহাটির কাউন্সিলর নির্মল ঘোষ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এর তদন্ত করে তাকে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল পুলিসের। কী কারণে হাই কোর্ট থেকে এরা বেল পেল? ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়’। তিনি আরও বলেন ‘আমি এতে অখুশি’।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন ‘আমরা আগেই বলেছি এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে তৃনমূলের অন্তর্দ্বন্দের কারণে। একদিকে তৃনমূল সারা রাজ্যব্যাপী মানুষের জীবন লুঠ করছে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে। সমস্ত সরকারি পদ ধ্বংস করেছে। এরপরে তৃনমূল নিজেরাই নিজেদেরকে খুন করছে’।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: উত্তরবঙ্গে জারি ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণে বাড়বে অস্বস্তি
বাম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘তৃনমূলের আমলে কোনও খুনি, ধর্ষণকারী, চোর তাদের কারোর শাস্তি হয়?এদের জন্যই তো তৃনমূল দল। তৃনমূলের আসেপাসে যেসব সৎ লোক আছে তাদের সেইজন্য বলি ওই পার্টি ছাড়ুন। ওই পার্টিতে থাকলে হয় মরবেন, আক্রান্ত হবেন নাহলে আপনাকে চোর বানিয়ে দেবে’।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘অনুপম দত্ত দলের একজন সক্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিল। তার মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখের।তার বাড়ির সঙ্গে আমাদের দলের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু জামিন তৃনমূল কংগ্রেস দেয়না। জামিন দেয় আদালত। সেক্ষেত্রে আদালত কেন জামিন দিয়েছে সেটা আদালত বলতে পারবে। কিন্তু মাথায় রাখা প্রয়োজন অনুপম দত্তের মৃত্যু নিশ্চিতভাবেই দুঃখের’।