রাজ্যে দাপট দেখিয়েছে Delta Variant, Zee ২৪ ঘণ্টার হাতে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট
কী রয়েছে সেই রিপোর্টে?
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রাজ্যে দ্বিতীয় ওয়েভের পিছনে কি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট? স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে এমনই প্রশ্ন। সেই Exclusive রিপোর্টই হাতে এসেছে Zee ২৪ ঘণ্টার।
কী রয়েছে সেই রিপোর্টে?
রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে ইতিমধ্যে দাপট দেখিয়েছে করোনার ডেল্টা ভ্য়ারিয়েন্ট। মার্চ, এপ্রিল ও মে, প্রায় তিন মাস ধরে রাজ্যে দাপিয়ে বেরিয়েছে করোনার ভাইরাসের এই প্রজাতি। অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ছিল মারাত্মক। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সমগ্র দেশে যখন দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করেছিল অর্থাৎ মার্চ মাস, তখন এ রাজ্যে করোনায় সংক্রমিতদের মধ্যে ১০ শতাংশই ডেল্টা প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এপ্রিলে সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যায়। দেখা যায়, ওই সময় করোনায় সংক্রমিতদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মে মাসে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময় এ রাজ্যে করোনায় সংক্রমিতদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মানুষ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৫ ঊর্ধ্ব ৭২ থেকে ৭৫ শতাংশ মানুষ ডেল্টা ভ্য়ারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের ৮৬ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলেছে করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতি। তবে এই নিয়ে একটি স্বস্তির খবর শুনিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। Zee ২৪ ঘণ্টা-কে তিনি জানান, মার্চ মাসেই রাজ্য থেকে চলে গিয়েছে ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট ও সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট। মার্চের শেষের দিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট এলেও, তা এপ্রিলেই চলে গিয়েছে। মে মাসে তা এ রাজ্যে থাবা বসায়নি।