ব্রিটিশ বোটানিস্ট অ্যানা অ্যাটকিংসকে গুগলের ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ

ব্রিটিশ বোটানিস্ট অ্যানা অ্যাটকিংসকে তাঁর জন্মদিনে ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ জানাল গুগল। উদ্ভিদ ও শ্যাওলার 'সূর্যছাপ' নেওয়া তাঁর ফোটাগ্রাফ উদ্ভিদ বিজ্ঞানকে এক লাফে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তিনিই প্রথম ফোটোগ্রাফিক বই তৈরি করেছিলেন।

Updated By: Mar 16, 2015, 01:24 PM IST
 ব্রিটিশ বোটানিস্ট অ্যানা অ্যাটকিংসকে গুগলের ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ

ওয়েবডেস্ক: ব্রিটিশ বোটানিস্ট অ্যানা অ্যাটকিংসকে তাঁর জন্মদিনে ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ জানাল গুগল। উদ্ভিদ ও শ্যাওলার 'সূর্যছাপ' নেওয়া তাঁর ফোটাগ্রাফ উদ্ভিদ বিজ্ঞানকে এক লাফে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তিনিই প্রথম ফোটোগ্রাফিক বই তৈরি করেছিলেন।

আজ অ্যানার ২১৬ তম জন্মবার্ষিকিতে অসাধারণ একটি ফোটোগ্রাফিক ইমেজের নয়া ভার্সান শোভা পাচ্ছে গুগলের হোমপেজে। গাড় নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা নীলে পাতার আকারের ফুটে উঠেছে গুগলের নাম। সায়ানোটাইপ পদ্ধতির মাধ্যমে অ্যামোনিয়াম আয়রন সাইট্রেট ও পটাশিয়াম ফেরিসায়ানাইডকে অতিবেগুনি রশ্মির মধ্যে উন্মুক্ত রাখলে প্রুশিয়ান নীল রঙ পাওয়া যায়।

প্রকৃতপক্ষে 'ব্লু প্রিন্ট'-এর জন্ম এই পদ্ধতিতেই। স্থাপত্যবিদ্যায় অঙ্কনের জন্য এই পদ্ধতি আগে ব্যবহার করা হত। উদ্ভিদবিদ্যায় ফোটোগ্রাফিক ইমেজের গুরুত্ব তিনিই প্রথম বুঝিয়ে ছিলেন। কাগজের উপর গাছের পাতা রেখে বহুক্ষণ তা সূর্যের আলোয় রেখে দিলে যা তৈরি হয় তাকে ফটোগ্রাফের বদলে ফটোগ্রাম বলাই শ্রেয়। ঠিক এই ধরণের একটি ফটোগ্রামই আজকের গুগল ডুডকে দেখা যাচ্ছে। এই ফোটোগ্রাফ ১৮৪৩ সালে তোলা এক ধরণের ব্রিটিশ অ্যালগি বা শৈবালের। অ্যানার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে এটি পাওয়া গেছে।

অ্যানার গুরু ইংরেজ জ্যোতিষী স্যর জন হেরশেল এই সায়ানোটাইপ পদ্ধতির আবিষ্কারক।

সেই সময় একজন মেয়ে হয়েও সমাজের সব প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে বিজ্ঞান সাধনায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন অ্যানা অ্যাটকিংস। সায়ানোটাইপস নিয়ে তাঁর বিস্তারিত গবেষণা আজও বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।

 

.