ফ্লিপকার্টে বিক্রি চোরাই মাল? গ্রেফতার ৬
ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টকে নোটিস পাঠালো দিল্লি পুলিস। সোমবার চুরি করা মাল বেচার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যার সামগ্রিক মূল্য ১ কোটি টাকা। এই ফোনগুলি ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
ওয়েব ডেস্ক: ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টকে নোটিস পাঠালো দিল্লি পুলিস। সোমবার চুরি করা মাল বেচার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যার সামগ্রিক মূল্য ১ কোটি টাকা। এই ফোনগুলি ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
নোটিসে ফ্লিপকার্টের সিইওকে এই বিষয় সংক্রান্ত তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ডিজিপি দীনেশ কুমার গুপ্তা বলেন, "মোট ২০৯টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এই ফোনগুলি ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা হচ্ছিল। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
অন্যদিকে ফ্লিপকার্টের মুখাপাত্র জানান, "ফ্লিপকার্ট সারা দেশে বিক্রেতাদের সঙ্গে ক্রেতাদের যোগাযোগ ঘটায়। আমাদের ৪০,০০০ বিক্রেতাকে ফ্লিপকার্টের নিয়মাবলী মেনে চলতে হয়। এই নিয়মের কোনওরকম অন্যথা হলে আমরা ব্যাপারটাকে অন্তত গুরুত্ব সহকারে দেখবো। নকল, চোরাই মাল বিক্রি চেষ্টা হলে বা কোনওরকম বেআইনি কিছু করার চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো।"
পুলিসি সূত্রে খবর, জুলাই মাসে দিল্লি বিমানবন্দরে হংকং থেকে আসা ৬০০টি ফোন খোয়া গিয়েছিল। এদিন গ্রেফতার হওয়া ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন রাজু সিং(৩১), সুনীল জৈন(৪০), গৌরব মিত্তল(৪৪), জিতেন্দ্র গিরোত্রা(২৮), হরেন্দর সিং(৪২) ও রবি(২৬)। মহীশূর, মেঙ্গালুরু, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, আমেদাবাদ, মহসনমুণ্ড, হায়দরাবাদ, জলন্ধর, দিল্লি ও চণ্ডীগড় থেকে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে দিল্লি পুলিস।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছেন ফোনগুলি তারা ফ্লিপকার্ট থেকে কিনেছে। বিলও দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিসকর্তা। দিল্লি থেকে গ্রেফতার হওয়া রাজু সিংয়ের কাছ থেকে পুলিস জানতে পেরেছে দক্ষিণ দিল্লির মহীপালপুরের নরেন্দ্র এই চক্রের মূল পান্ডা। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালের কর্মী এই নরেন্দ্র। অপর ধৃত হরেন্দর মহীপালপুরের এক মোবাইল ফোনের দোকানের মালিক। এই হরেন্দরের কাছ থেকেই ফোনগুলি কিনেছিল রবি। পরে জিতেন্দ্র গিতোরিয়াকে সেগুলো বেচে দেয়। গিতোরিয়া ফোনগুলি বেচে করোল বাগের ব্যবসায়ী সুনীল জৈনকে।
জৈনের কাছ থেকে মোট ৩ জন ফোনগুলি কিনেছিলেন। বেঙ্গালুরুর এক এজেন্ট মজহর, করোল বাগের মোবাইল আউটলেটের মালিক গৌরব মিত্তল ও রাজস্থানের এক এজেন্ট রৌনক। এই রৌনক বেশ কিছু ই-টেলরের এজেন্ট। যার মধ্যে রয়েছে ফ্লিপকার্টও।