লালগ্রহে জলের সন্ধান, গুগলের হোমপেজে আজ মজাদার ডুডল

আপাত শুষ্ক মঙ্গলে এখনও বয়ে চলে জলের ধারা। লাল গ্রহের ভূপৃষ্ঠের নীচে নয়। একেবারে গ্রহের ওপর। স্বচ্ছ নয়, বয়ে চলে নোনা জলের ধারা। গ্রীষ্মে সেই ধারা বাড়ে, ক্ষীণ হয়ে আসে শীতের সময়। এমনই দাবি করলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

Updated By: Sep 29, 2015, 09:23 AM IST
লালগ্রহে জলের সন্ধান, গুগলের হোমপেজে আজ মজাদার ডুডল

ব্যুরো: আপাত শুষ্ক মঙ্গলে এখনও বয়ে চলে জলের ধারা। লাল গ্রহের ভূপৃষ্ঠের নীচে নয়। একেবারে গ্রহের ওপর। স্বচ্ছ নয়, বয়ে চলে নোনা জলের ধারা। গ্রীষ্মে সেই ধারা বাড়ে, ক্ষীণ হয়ে আসে শীতের সময়। এমনই দাবি করলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

এবার গুগলের হোমপেজে উঠে এল লালগ্রহে জলের উৎস নিয়ে মজাদার ডুডল। ডুডলটিতে দেখা যাচ্ছে লালগ্রহ একটা স্ট্র দিয়ে জল খাচ্ছে। 

মঙ্গলের শুষ্ক ভূপৃষ্ঠের নীচে লুকিয়ে আছে জমা বরফের বিশাল ভাণ্ডার। আগেই তার প্রমাণ পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কোনও কৌশলে সেই বরফ গলিয়ে মঙ্গলের বুকে জলস্রোত তৈরি করা যায় কিনা, সেনিয়েও ভাবনা-চিন্তা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। 

বিজ্ঞানীদের ভাষায়  TERRA FORMING। কিন্তু তার আগেই আরও চমকে দেওয়ার মত দাবি করলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, মঙ্গলে এখনও বয়ে চলে  জলের ধারা। সেই ধারা অবশ্য লবণাক্ত জলের।  মঙ্গলের মাটিতে অস্তিত্ব রয়েছে উপত্যকা ও জ্বালামুখের।  উপগ্রহ থেকে পাঠানো ছবিতে ধরা পড়েছে, সেই সব এলাকার উঁচু জায়গায় রয়েছে জলপ্রবাহের চিহ্ন। বিজ্ঞানীদের দাবি, মঙ্গলে যখন গ্রীষ্মকাল কাল তখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে লবাণাক্ত জলের ধারা। ধারাগুলি ক্রমশ দীর্ঘ এবং স্পষ্ট চেহারা নিতে থাকে। আবার গ্রীষ্মকাল কেটে গেলে আগের ক্ষীণ অবস্থায় ফিরে যায় জলের ধারাগুলি। তবে এই জলধারার উত্‍স কোথায় সেনিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। দুটি সম্ভাবনার কথা বলছেন তাঁরা। হতে পারে মঙ্গলের ভূস্তরের নীচে জমে থাকা বরফ গলে ওই জলস্রোত তৈরি হয়। অথবা, মাটির নীচে জমাট অবস্থায় থাকতে পারে  নোনা জলের ভাণ্ডার। গরমে সেটাই গলে জলধারা হয়ে বয়ে চলে মাটির ওপর। 

বিজ্ঞানীদের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে মানুষের মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে সামনের দিকে এক বিরাট পদক্ষেপ। কারণ জলই জীবনের আধার। ফলে মঙ্গলের এই জলধারার মধ্যে থাকতে পারে প্রাণের আদি কোনও উপাদান। অথবা এই জলেই বিকশিত হতে পারে ভবিষ্যতের প্রাণ। কিংবা মানুষ কাজে লাগাতে পারে মঙ্গলের জলভাণ্ডার। সব মিলিয়ে, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের যে দীর্ঘ অনুসন্ধান, সেই সম্ভবনায় নতুন করে সলতে জ্বালিয়ে দিল নাসার বিজ্ঞানীদের এই দাবি।

.