প্রথম স্যাটেলাইট থেকে ঝড় বৃষ্টির লাইভ টেলিকাস্ট প্রকাশ নাসার
প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নাসা প্রকাশ করল প্রথম গ্লোবাল রেইনফল ও স্নোফল ম্যাপ যেখানে একনজরে পৃথিবীর সবজায়গার আবহাওয়া একটি ম্যাপে প্রায় রিয়েল টাইমে ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বুকে বড় বিপর্যয় এলে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে মনে করছেন JAXA ও নাসার বিজ্ঞানীরা।
ওয়েব ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নাসা প্রকাশ করল প্রথম গ্লোবাল রেইনফল ও স্নোফল ম্যাপ যেখানে একনজরে পৃথিবীর সবজায়গার আবহাওয়া একটি ম্যাপে প্রায় রিয়েল টাইমে ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বুকে বড় বিপর্যয় এলে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে মনে করছেন JAXA ও নাসার বিজ্ঞানীরা।
গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মেজারমেন্টের (GPM) মাধ্যমে ৩০ মিনিট অন্তর অল্প বৃষ্টি ও তুষারপাতের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পাঠাতে সক্ষম। ঠিক একইসঙ্গে দক্ষিণ মহাসাগরের উপর বড় ঝড়ের উত্পত্তির খবর মিলবে এই জিপিএমের মাধ্যমে। অর্থাত জুলাইয়ের প্রথম দিকে আটলান্টিক মহাসাগরে উপর হ্যারিকেন হোক অথবা প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে বয়ে যাওয়া টাইফুন পাশাপাশি দুটি তথ্য আমরা বিস্তারিত পেতে থাকব।
জিপিএমের প্রোজেক্টের এক বিজ্ঞানী গেইল স্কোফ্রনিক-জ্যাকসন জানান, "ইংল্যান্ডের হাল্কা বৃষ্টির সঙ্গে ভারতের মৌসুমি বায়ুর সব রকম তথ্য জিপিএম দিতে থাকবে।" তিনি আরও জানান, "তুষার ও বৃষ্টিপাতের বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্য থ্রিডি ভিউর মধ্যমে দেখতে পাব। এছাড়ও জিপিএম ভবিষতবাণী করতে পারবে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ ও কার্যকাল।"
২০১৪ জাপান এরোসপেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি ও নাসার যৌথ উদ্যোগে গ্লোবাল প্রেসিপিটেশন মিজারমেন্ট মিশন তৈরি করা হয়। নাসা ও অন্যান্য স্পেস সেন্টারের বেশ কিছু স্যাটেলাইট মিলে আবহাওযার পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। তবে নাসা চেষ্টা করছে একদম রিয়েল টাইম তথ্য পেতে তাহলে আগেভাগে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে অনেক সুবিধা হবে।