খুব বিকোচ্ছে থ্রিসাম ডেটিং অ্যাপ

মূলত যৌনতার ওপর ভর হইহই করে চলে ডেটিং সাইটগুলো। এবার এল থ্রিসাম ডেটিং অ্যাপ থ্রিন্ডার (3nder)। থ্রিন্ডার হল যৌনতার এমন এক ঠিকানা যেখানে ব্যবহারকারী সম্মতি জানালে একসঙ্গে বিছানায় পাবেন একাধিক সঙ্গী। পর্ন-এর দৌলতে পুরুষ ও মহিলা দু’পক্ষই থ্রিসাম সেক্স সম্পর্কে যে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। থ্রিসামের এখন খুব বাজার। বিজ্ঞাপনে, সিনেমা (এমনকি বলিউডেও) থ্রিসাম সম্পর্ককে নানাভাবে দেখানো হয়েছে। এবার সেই থ্রিসাম সম্পর্ককে ডেটিং সাইটে এনে বাজার মাতাচ্ছে থ্রিন্ডার।  

Updated By: Aug 3, 2016, 04:02 PM IST
খুব বিকোচ্ছে থ্রিসাম ডেটিং অ্যাপ

ওয়েব ডেস্ক: মূলত যৌনতার ওপর ভর হইহই করে চলে ডেটিং সাইটগুলো। এবার এল থ্রিসাম ডেটিং অ্যাপ থ্রিন্ডার (3nder)। থ্রিন্ডার হল যৌনতার এমন এক ঠিকানা যেখানে ব্যবহারকারী সম্মতি জানালে একসঙ্গে বিছানায় পাবেন একাধিক সঙ্গী। পর্ন-এর দৌলতে পুরুষ ও মহিলা দু’পক্ষই থ্রিসাম সেক্স সম্পর্কে যে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। থ্রিসামের এখন খুব বাজার। বিজ্ঞাপনে, সিনেমা (এমনকি বলিউডেও) থ্রিসাম সম্পর্ককে নানাভাবে দেখানো হয়েছে। এবার সেই থ্রিসাম সম্পর্ককে ডেটিং সাইটে এনে বাজার মাতাচ্ছে থ্রিন্ডার।  

আরও পড়ুন-বলিউডের প্রথম থ্রিসাম সেক্স সিনেমা

যদিও আইনী জটিলতা থাকা, টিন্ডার স্বীকার করছে না থ্রিন্ডার আসলে তাদেরই অ্যাপ। টিন্ডারের দাবি, আসলে তাদের নাম ভাঙিয়ে এসব করছে ব্রিটেনের এক সংস্থা।

আরও পড়ুন- বলিউডের সবচেয়ে উত্তেজক পোস্টার নিয়ে রিলিজের অপেক্ষায় এই সিনেমা

অ্যাপেল অ্যাপে থ্রিন্ডার গোটা বিশ্বজুড়ে দেড় লক্ষের বেশি সময় ধরে ডাউনলোড করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা মাসে ৩০ লক্ষ মেসেজ আদানপ্রান করেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। থ্রিন্ডার-এর মানে হল থ্রি মানে তিন, বুলগেরিয়ান শব্দ এন্ডার মানে হল বন্ধু। তিন বন্ধুর সম্পর্কের যৌনতার এই অ্যাপ এখন বেশ জনপ্রিয়।

দেখুন-সবচেয়ে উত্তেজক থ্রিসাম শর্টফিল্ম

এই অ্যাপ বন্ধের দাবি উঠেছে। মামলাও চলছে।  

এটি তৈরিই করা হয়েছিল এটা ভেবে, যে মানুষ যেন এখানে একজনের বেশি সঙ্গী বা সঙ্গীনীর সঙ্গে, কথাবার্তা, ডেট কিংবা শারীরিক সম্পর্ক চালাতে পারে একই সময়ে।

ব্যাস, এক্সট্রা সঙ্গী কেই বা না চায়। তাই হুড়মুড়িয়ে বিকোচ্ছে, ট্রিন্ডার। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এই অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে ১৫ লক্ষেরও বেশি। আর এই অ্যাপ কোম্পানির সিইও দিমো ত্রিনোভ জানিয়েছেন, এখন মাসে দেড় লাখ মেসেজ এবং ছবি চালাচালি করেন এই অ্যাপ যাঁরা ব্যবহার করেন তাঁরা। এই অ্যাপ থেকে ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার পাউন্ড রোজগার করে ফেলেছেন ত্রিনোভ। সোনায় সোহাগা আর কী।

কিভাবে এল এই অ্যাপ বানানোর পরিকল্পনা? দিনো ত্রিনোভ জানিয়েছেন, তিনি এক গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন এর ধারণা। কারণ, সেই গার্লফ্রেন্ড অন্য একজন মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল! এই অ্যাপ থেকে নানা লিঙ্গের মানুষ উপকৃত হচ্ছে এখন। যৌনতা উপভোগ করায় নতুন এক মাত্রা এনে দিচ্ছে। একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে একের বেশি সঙ্গী। অথচ, সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্যই থাকছে গোপন। এমন অ্যাপের প্রেমে আমজনতা পড়বে না!

 

.