Solar Polar Vortex: ভেঙে গিয়েছে সূর্য; মহাকাশে মহাবিপর্যয়! কতদিন টিকবে এই পৃথিবী?
Chunk Of Sun's Surface Breaks Off: আমাদের কবি তো কবেই লিখেছিলেন সূর্যপোড়া ছাইয়ের কথা। কিন্তু তখন তো সব শেষ। তাই বলে আস্ত সূর্যখানি ভেঙে দুটুকরো হয়ে যাওয়া? হ্যাঁ, কল্পনা করাও অসম্ভব এই ঘটনাটিই সম্প্রতি ঘটেছে। যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমাদের কবি তো কবেই লিখেছিলেন সূর্যপোড়া ছাইয়ের কথা। কিন্তু তখন তো সব শেষ। ফলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এর মাঝামাঝি কিছু হলে? আস্ত সূর্যখানি ভেঙে দুটোকরো হয়ে যাওয়া কি কম কথা হল? হ্যাঁ, কল্পনা করাও অসম্ভব এই ঘটনাটিই সম্প্রতি ঘটেছে। যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। টিকবে তো এ সভ্যতা? ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, সূর্যের ভূপৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই অংশটি সূর্যের উত্তর মেরুর চারপাশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ঘটনায় বিস্মিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কেন এমন হল, বিশ্লেষণ করতে শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Jupiter Beating Saturn: মহাকাশের মেসি-রোনাল্ডো! শনিকে হারিয়ে বৃহস্পতিই জিতে নিল চাঁদের বিশ্বকাপ...
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা 'নাসা'-র জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে সবে গত সপ্তাহে এই মহাজাগতিক দৃশ্যটি জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে ট্যুইট করেছেন স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ট্যামিথা স্কোভ। মহাকাশের আবহাওয়া নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়াই তাঁর কাজ। কাজটি করতে গিয়েই তিনি ঘটনাটি আবিষ্কার করেছেন।
এই মহাজাগতিক ঘটনায় পৃথিবীর উপরে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল বেড়েছে। বহু দশক ধরে সূর্যের পর্যবেক্ষণ করছেন আমেরিকার কলোরাডোর বৌল্ডারের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক রিসার্চ’-এর সৌরপদার্থবিদ স্কট ম্যাকইনটশ। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের দৃশ্য তিনিও কখনও দেখেননি। এদিকে স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ট্যামিথা লিখেছেন-- বিষয়টি হল ‘পোলার ভর্টেক্স’! সূর্যের উত্তর মেরুর প্রধান ফিলামেন্ট থেকে একটা বড়সড়ো অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এবং ওই জায়গায় একটি ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানটি স্থির নয়, ঘুরছে।
কিন্তু ‘পোলার ভর্টেক্স’ কী?
ঠান্ডা হাওয়া ঘড়ির উল্টো দিকে ঘুরলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকেই ‘পোলার ভর্টেক্স’ বলে। সূর্যের বহির্পৃষ্ঠ ঘিরেও এই ঘূর্ণিঝড়ের অস্তিত্ব রয়েছে। মহাজাগতিক এই ঘটনাকে সোলার পোলার ভর্টেক্স আখ্যা দিয়েছেন স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ট্যামিথা। সোলার পোলার ভর্টেক্স নিয়ে জানা গিয়েছে, ঝড়ের মতো ওই ব্যাপারটি সূর্যের উত্তর মেরুর প্রায় ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশ প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছে! এর অর্থ, অকল্পনীয় একটা দ্রুতগতি! জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর দুই মেরুস্থানেই এক বিশাল জায়গা জুড়ে নিম্নচাপ রয়েছে। সেখানে এই পোলার ভর্টেক্স দেখা যায়। গ্রীষ্মে এটি দুর্বল হয়ে পড়ে, শীতে এর শক্তি বাড়ে।
সূর্যের গা থেকে রশ্মির বিকিরণের ফলে অনেক সময়ই পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়। কিন্তু এবারে, এই সূর্যের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় কী হবে? বড়ো কোনও দুর্ঘটনা? কোনও মহাবিপর্যয়? কেননা, এ ধরনের ব্যাপার তো বেশি ঘটে না। দেখতে গেলে স্মরণকালের মধ্যে ঘটেওনি। তাই বিস্মিত হয়ে পড়ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীদের সব মহল।