আন্তর্জাতিক নারী দিবসের A টু Z
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। গোটা বিশ্বজুড়ে নানা দেশে নানা ভাবে পালন করা হচ্ছে এই দিনটি । ফেসবুকেও উঠবে আজ নারীবাদের ঝড়। সকলের 'দেওয়ালে' থাকবে নারী সম্পর্কিত পোস্ট। ট্যুইটারে দেখা যাবে অনেক 'দামী দামী' টুইট। শূধু নারী নয়, পুরুষদেরও নারী দিবস নিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা যাবে।
ওয়েব ডেস্ক: আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। গোটা বিশ্বজুড়ে নানা দেশে নানা ভাবে পালন করা হচ্ছে এই দিনটি । ফেসবুকেও উঠবে আজ নারীবাদের ঝড়। সকলের 'দেওয়ালে' থাকবে নারী সম্পর্কিত পোস্ট। ট্যুইটারে দেখা যাবে অনেক 'দামী দামী' টুইট। শূধু নারী নয়, পুরুষদেরও নারী দিবস নিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা যাবে। যদিও কাল হয়ত এদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে নতুন কোনও ধর্ষকের মুখ। কিন্তু যে নারী দিবস নিয়ে আজ এত মাতামাতি, কোথা থেকে এল এই দিনটা? এর কেনই বা প্রয়োজন পড়ল নারীদের জন্য আলাদা একটা দিনের?
মানবজাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে নারী পুরুষ দু'জনেরই সমান প্রয়োজন। নারীর শরীর ছাড়া শুধু পুরুষের অবদান জন্ম দিতে পারে না নতুন প্রাণের। তবুও যুগ যুগ ধরে চলে আসছে পুরুষের নীচে নারীকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা। তা সে নিজের অন্দরমহলেই হোক বা সমাজের সামনে। এই দমনের বিরুদ্ধেই একদিন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ১৫ হাজার মহিলা। নিউ ইয়র্কের রাস্তায় তারা নিজেদের অধিকার দাবি করে মিছিল করে। এরপর ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন নামে এক মহিলা চালু করেন নারী দিবস। আসতে আসতে তা পালন হতে থাকে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইৎজারল্যাণ্ডে। সেই দিনটা ছিল ১৯ মার্চ। ১৯১৩ সালে ইউনাইটেড নেশন ঘোষণা করে প্রতি বছর ৮ মার্চ নারীদের সম্মান জানাতে বিশ্ব জুড়ে পালন করা হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
মূলত নারী- পুরুষের ভেদাভেদ দূর করে সবার সমান অধিকার চালু করা, নারীদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা, নারীর পূর্ণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এসবই ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের লক্ষ্য। ১০০ বছর ধরে ঘটা করে পালন হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ কি হয়েছে? নারীদের সামাজিক উচ্চতা বাড়ছে ঠিকই কিন্তু কমছে না ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নারী পাচারের মতো জঘন্য অপরাধ। সত্যিই কি তবে বিশ্বে পানল হচ্ছে নারী দিবস? নাকি নারী দিবস মানে শুধুই ফুল, চকলেট আর উপহার?