লকডাউনে খাবারের সঙ্কট! কিছু প্রাণীকে মেরে অন্যদের খাওয়াবে এই চিড়িয়াখানা
আধপেটা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেক পশুপাখিকে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে জানা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন— এমন দুর্দিন আসবে কে ভেবেছিল। একে তো ভাইরাসের প্রকোপ। তার মধ্যে খাবারের সঙ্কট। মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি, গোটা জীবজগত যেন অভূতপূর্ব এক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে বিশ্বের বহু দেশের সরকার ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে। আর তাতেই দেখা দিয়েছে প্রবল খাবারের সঙ্কট। এমনিতেই লকডাউন উঠলে প্রচুর মানুষের কাজ হারানোর শঙ্কা রয়েছে। তবে যে শুধু মানুষেরই ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তা নয়। লকডাউনের জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছে প্রাণীরাও। এক প্রজাতিকে রক্ষা করতে বিপদ বাড়ছে আরেক প্রজাতির।
জার্মানির নিউ মুনস্টার চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এই চিড়িয়াখানায় ১০০ প্রজাতির ৭০০ প্রাণী থাকে। লকডাউনের জেরে প্রবল খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খাবারের বরাদ্দ কমেছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি অনুদান এসে পৌঁছয়নি চিড়িয়াকানা কর্তৃপক্ষের হাতে। ফলে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেক পশুপাখিকে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে জানা নেই। তবে কিছুদিনর মধ্যে মজুত খাবারে টান পড়বে। আর সেই দিনের কথা ভেবে এখন থেকেই আশঙ্কায় ভুগছে কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার পরিচালক ভেরেনা কাসপারি জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থায় আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে হয়তো। শেষ পর্যন্ত প্রাণীদের খাবারের টাকা জোগাড় না হলে কিংবা সাপ্লায়ার যদি খাবার সরবরাহ করতে না পারে, তাহলে কিছু প্রাণীকে মেরে অন্যদের খাওয়াব। প্রাণীদের না খাইয়ে রাখার থেকে এই সিদ্ধান্ত ভাল।
আরও পড়ুন— প্রতিষেধক ছাড়া অসম্ভব করোনা রোখা, সাফ জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘ
বছরের এই সময় আবহাওয়া ভাল থাকে। ইস্টারের ছুটিতে উত্তর জার্মানির এই চিড়িয়াখানায় ভিড় হয় প্রবল। প্রাণীদের জন্য অনুদান মেলে। এবার করোনাভাইরাসের জন্য সেসব বন্ধ। লকডাউন চলছে। নিউ মুনস্টার চিড়িয়াকানা বন্ধ হয়েছে গত ১৫ মার্চ। কবে আবার খুলবে তাও জানা নেই কর্তৃপক্ষের। কোন প্রাণীদের সবার প্রথমে হত্যা করা হবে তারও একটি তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে চিড়িয়াখানার পরিচালক সেটি জানাতে চাননি। জানা গিয়েছে তালিকায় সবার শেষে রয়েছে একটি মেরু ভাল্লুক। ভিটাস নামের সেই ভাল্লুকটির উচ্চতা ১২ ফুট।