Asteroid | NASA: প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে উল্কাপিণ্ড, ৪৮ ঘণ্টায় ধাক্কা পৃথিবীর সঙ্গে!
এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসছে। এর আয়তন ৫২ ফুট। এই নাসার আর্থ গ্রহাণুটির সঙ্গে যদি পৃথিবীর সংঘর্ষ হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানায়নি নাসা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে নাসা। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এটি পঞ্চমবার পৃথিবীর দিকে আসছে বলে জানা গিয়েছে। Asteroid 2020 PP1 নামের এই গ্রহাণুটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছতে চলেছে।
এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসছে। এর আয়তন ৫২ ফুট। এই নাসার আর্থ গ্রহাণুটির সঙ্গে যদি পৃথিবীর সংঘর্ষ হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানায়নি নাসা।
আরও পড়ুন: UNESCO: এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে স্মার্টফোন! কড়া মনোভাব রাষ্ট্রসংঘের...
এর আগে, এই গ্রহাণুটি চারবার পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। প্রথমবার ৯ অগস্ট ২০১৯ সালে এবং এর পরে ৫ অগস্ট ২০২০ সালে। এছাড়াও ৩ অগস্ট ২০২১ এবং ১ অগস্ট ২০২২ তারিখে এটি প্রথিবির কাছে চলে আসে। নাসা প্রতি বছর এই গ্রহাণুটিকে পর্যবেক্ষণ করে। এই বছর ২৯ জুলাই এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে।
গ্রহাণু কি?
গ্রহাণুকে উল্কাপিন্ডও বলা হয়। এগুলিকে একটি গ্রহ বা একটি নক্ষত্রের একটি ভাঙা টুকরা বলে মনে করা হয়। এদের আকার ছোট পাথর থেকে শুরু করে বিশাল পাথরের সমান হতে পারে। বলা হয় সৌরজগতে লক্ষ লক্ষ গ্রহাণু বিচরণ করছে।
আরও পড়ুন: Alien And UFO: বিগ ব্রেকিং! এলিয়েন রয়েছে পৃথিবীতেই, এদের দেহও আছে এ-গ্রহে; জেনে নিন কোথায়...
গ্রহাণুগুলি সূর্যের চারদিকে ঘোরে এবং এটি করতে করতে তারা পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। কখনও কখনও আকাশ থেকে জ্বলন্ত আলো বিশিষ্ট একটি গোলককে পড়ে যেতে দেখা যায়। এগুলি হল উল্কা। যখন এই উল্কাগুলি জ্বলন্ত আকারে নেমে আসে এবং পৃথিবীতে পৌঁছায়, তখন তাদের বলা হয় লুকা।
বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে এদের গুরুত্ব প্রচুর। কারণ প্রথমত, এগুলি খুবই বিরল। দ্বিতীয়ত, এই খন্ডগুলিই মহাআকাশে চলতে থাকা বিভিন্ন গ্রহ এবগ অন্যান্য গঠন সম্পর্কে জ্ঞানের একমাত্র প্রত্যক্ষ উৎস।