কনেযাত্রী নিয়ে বরের বাড়ি গিয়ে বিয়ে করল পাত্রী, দেশজুড়ে হইচই
বিয়ে বাড়িতে আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না। শুধু কনে গেলেন বরের বাড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নারী-পুরুষের সমানাধিকার। এমন কথা মুখে আমরা অনেকেই বলি। কিন্তু বাস্তবে তার কার্যকারিতা কতটা! খাদিজা আক্তার খুশি সমানাধিকারের এই দাবিকে বাস্তবের রূপ দিলেন। কনেযাত্রী নিয়ে তিনি বিয়ে করতে গেলেন বরের বাড়ি। ঘটা করে হল বিয়ে। যদিও তাঁর এমন কাণ্ড সমাজের একাংশ ভাল চোখে দেখেনি। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে বিস্তর আলোচনা চলছে। খুশি অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তাঁর সাফ জবাব, ''আমার বিয়েটা হল নতুন স্টাইলে। একটা মেয়ে এবার একটা ছেলেকে বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে। নারী-পুরুষের সমানাধিকারের এটা একটা দারুন উদাহরণ।''
আরও পড়ুন- মার্কিন মুলুকে পা দিয়েই মন জয় করে নিলেন মোদী, প্রশংসার বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়
কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজে অনার্সের ছাত্রী খুশি। আর তাঁর স্বামী একজন ব্যবসায়ী। বিয়ে বাড়িতে আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না। শুধু কনে গেলেন বরের বাড়ি। দুপুর নাগাদ কনেযাত্রী সমেত পাত্রী চলে এল বরের বাড়ি। তার পর ধুমধাম করে হল বিয়ে। মেয়েকে বরণ করে নিলেন বরের বাড়ির লোকজন। এর পর বরের বাড়িতেই হয় রেজিস্ট্রি। বরের বাড়িতে তার পর হয় ভুরি ভোজ। বিকেলের দিকে আবার বরকে নিয়ে কনে চলে যান নিজের বাড়ি। সেখানে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর পর বর আবার ফিরে আসে তাঁর বাড়িতে।
আরও পড়ুন- হাউস্টনে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, আজই ঐতিহাসিক 'হাউডি মোদী' সভায় দেবেন ভাষণ
বর ও কনের বাবা-মা ছেলে-মেয়ের এমন সিদ্ধান্ত সানন্দে মেনে নিয়েছিলেন। খুশি বলছিলেন, এতদিন কেউ ভাবতেই পারেনি মেয়ে বরের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে! হয়তো আমার এই বিয়ে দেখে অন্য মেয়েরা উদ্বুদ্ধ হবে। নতুন প্রথা চালু হবে। আমরা তো সমানাধিকারের কথা শুধু মুখেই বলি। বাস্তবে সমানাধিকারের ধারা চালু করাটাও প্রয়োজন। খুশির এই প্রথা ভাঙা বিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে বিস্তর চর্চা চলছে। অনেকেই খুশিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, নিয়ম ও প্রথা ভেঙে এই বিয়ের কোনও মানে নেই!