মস্কো বিমানবন্দরে খোঁজ মিলল মার্কিন `মোস্ট ওয়ান্টেডের`
দেশের মানুষের ফোনে আড়ি পাতছে সরকার, নজর রাখা হচ্ছে ইন্টারনেটে গতিবিধিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এহেন কার্যকলাপ ফাঁস করে দেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। তারপর থেকেই তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে আমেরিকার গোয়েন্দারা। কিন্তু কোথায় স্নোডেন? খোঁজ মিলেছে গতকাল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, মস্কো বিমানবন্দরেই রয়েছেন এডওয়ার্ড স্নোডেন।
আমেরিকার এখন কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর মিলল। অবশেষে খোঁজ মিলল আমেরিকার `মোস্ট ওয়ান্টেডে`পার্সেনের।
দেশের মানুষের ফোনে আড়ি পাতছে সরকার, নজর রাখা হচ্ছে ইন্টারনেটে গতিবিধিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এহেন কার্যকলাপ ফাঁস করে দেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। তারপর থেকেই তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে আমেরিকার গোয়েন্দারা। কিন্তু কোথায় স্নোডেন? খোঁজ মিলেছে গতকাল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, মস্কো বিমানবন্দরেই রয়েছেন এডওয়ার্ড স্নোডেন।
তবে তাঁকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে রাশিয়া। খোঁজ মিলেছিল হংকংয়ে। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ পরে জানান, তেইশ তারিখই হংকং ছেড়ে যান স্নোডেন।
হংকং থেকে রাশিয়া, সেখান থেকে কিউবা হয়ে ইকুয়েডরে যাবার পরিকল্পনা ছিল স্নোডেনের। সঙ্গী উইকিলিকসের কৌঁশুলি সারা হ্যারিসন । অ্যাসাঞ্জ জানিয়েছেন দুজনেই নিরাপদ আছেন।
তবে ইকুয়েডরের উদ্দেশে রওনা দিলেও স্নোডেনের গতিবিধি আজানাই থেকে গিয়েছিল মার্কিন প্রশাসনের কাছে। কথা ছিল মঙ্গলবার মস্কো ছেড়ে হাভানা যাবেন স্নোডেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা যায় বিমানে স্নোডেনের আসনটি খালি। পরে ফিনল্যান্ড সফররত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন তাঁর দেশেই রয়েছেন স্নোডেন
মার্কিন প্রশাসনের হাতে স্নোডেনকে তুলে দিতে তিনি যে বাধ্য নন সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন পুতিন। তাঁর মতে, স্নোডেন একজন স্বাধীন মানুষ, তিনি অন্য কোনও দেশে যাওয়ার পথে মস্কো বিমানবন্দরে এসেছেন। তবে যত তাড়াতাড়ি তিনি নিজের গন্তব্য চলে যান তত ভাল।
স্নোডেনকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ইকুয়েডর। রিকর্ডো পাটিনো বলেন, মন্ত্রী হিসেবে সিদ্ধান্তটা আমাকেই নিতে হবে, আমরা পরিস্থিতি বিশ্নেষণ করছি , আর আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার যায়গায় পৌঁছেও গিয়েছি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এই প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটেনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এবার ফের আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে স্নোডেনকে আশ্রয় দেবে কিনা ইকুয়েডর সেটাই দেখার।