রূপকথার পরিণয়ে ভুটানরাজ

জেতসুন পেমার বিয়ের গল্পটা রূপকথার মতোই। সাধারণ ঘরের মেয়ের প্রেমে পড়েছেন রাজার ছেলে। আর সিংহাসনে আসীন হয়ে তরুণ রাজা ঘরে আনলেন সুন্দরী মধ্যবিত্ত মেয়েটিকে।

Updated By: Oct 13, 2011, 08:16 PM IST

জেতসুন পেমার বিয়ের গল্পটা রূপকথার মতোই। সাধারণ ঘরের মেয়ের প্রেমে পড়েছেন রাজার ছেলে। আর সিংহাসনে আসীন হয়ে তরুণ রাজা ঘরে আনলেন সুন্দরী মধ্যবিত্ত মেয়েটিকে।
আজ সেই রূপকথার বিয়ে সম্পন্ন হল ভুটানে। পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক। পাত্রী সাধারণ ঘরের কন্যা, একুশ বছরের ছাত্রী জেতসুন পেমা। বৌদ্ধধর্মমতে, রাজকীয় আড়ম্বরে সম্পন্ন হল বিবাহের আচার-অনুষ্ঠান।
চূড়ান্ত রাজতন্ত্রের পর ভুটানে এখন সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। প্রথম নির্বাচন হয়েছে দু`হাজার সাতে। একত্রিশ বছরের রাজা নিজে যে মানুষের উপরে আস্থাশীল, সেটা এই ঐতিহাসিক ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার তাই তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশ্ববাসী দেখল অন্য এক রাজাকে। সিংহাসনের গরিমা থেকে জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক নেমে এলেন সাধারণের দরবারে। কথা বললেন, পা মেলালেন নাচের আসরে। জীবনে এমন সুযোগ তো একবারই আসে, তাই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে মানুষেরও।
রাজতন্ত্র আর সাধারণের এই অনায়াস, সহজ চলাচলে মিশেছে ভুটানের ঐতিহ্য আর প্রাচীনতার গাম্ভীর্য, স্নিগ্ধ সৌন্দর্য। যে সৌন্দর্যে ভেসে যায় শাসক আর শাসিতের ব্যবধান। হাজির ছিলেন দেশ-বিদেশের বহু অতিথি। ভারত থেকে নিমন্ত্রিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। হাজির ছিলেন নেপালের রাজ পরিবারের সদস্যরাও।
রূপকথার বিয়ের মতোই রাজদম্পতির মধুচন্দ্রিমাও রাজকীয় হবে, সেটাই তো প্রত্যাশিত। তাই শতাব্দীপ্রাচীন কেল্লা, অট্টালিকা আর মরুভূমিতে মোড়া রাজস্থানকেই নিজেদের মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছেন জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক আর তাঁর রানি। রাজ পরিবারসূত্রে খবর রাজস্থানে এসে তাঁরা সফর করতে পারেন বিলাসবহুল প্যালেস অন হুইলস-এও। রাজা-রানিকে স্বাগত জানাতে তৈরি রাজপুতানা। রাজকীয় অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হবে রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক আর তাঁর রানি জেতসুন পেমাকে।

.