লুকিয়ে পোড়ানো হচ্ছে মৃতদেহ! চিনের বিরুদ্ধে এখনও মহামারি আড়াল করার অভিযোগ
চিনে লকডাউন ওঠার পরও বহু জায়গায় মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদেন— চিনের স্থানীয়রা মনে করছেন, কম করে ৪২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন কেবল উহানেই। কিন্তু চিনের প্রশাসন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের সঠিক সংখ্যা জানায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে চিনের বিরুদ্ধে মহামারি গোপন করার অভিযোগ তুলে মামলা করেছে। তাদের দাবি, চিন সঠিক সময়ে ভাইরাসের কথা জানালে সারা বিশ্বে হয়তো এত মানুষ মারা যেতেন না। এবার চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এখনও করোনা মহামারি গোপন করছে। চিনের ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর যে সংখ্যা দেখিয়েছে, তার থেকেও অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চিনে লকডাউন ওঠার পরও বহু জায়গায় মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, প্রায় প্রতিদিন পাঁচ হাজার শবদেহ সত্কার করানো হয়েছে। গণহারে মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে চিনে। প্রশাসন লুকিয়ে মৃতদেহ পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রমাণভিত্তিক তথ্য হাজির করতে পারেনি আরএফএ। তবে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট পেশ করেছে তারা।
আরও পড়ুন— করোনায় মৃত্য়ু হল ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ভারতীয় বংশোদ্ভূত গীতার
শুধুমাত্র উহান শহরেই ৪২ হাজার মানুষের প্রানহানি হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছিল ডেইলি মেইল। যদিও চিন এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, তিন হাজার তিনশো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যদিও উহানের স্থানীয় অনেকের দাবি, গত ১২ দিনে অন্তত ৪২ হাজার মৃতদেহ সত্কার হয়েছে। ৫ এপ্রিল কিং মিং উৎসব চিনে। তার আগে সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তার আগে প্রশাসনের দিকে তোপ দাগতে শুরু করেছে উহানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।