ঋণের ভারে জর্জরিত ইউরোপ, ক্রেডিট রেটিং কমল ফ্রান্সের
ইউরো জোনে মন্দার অশনিসংকেত আরও স্পষ্ট।
ইউরো জোনে মন্দার অশনিসংকেত আরও স্পষ্ট। ক্রেডিট রেটিং বা ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা নির্ণায়ক সূচক কমেছে ওবামার দেশের। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সারকোজির দেশ। শুক্রবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রেডিট রেটিং তালিকায় একধাপ নেমেছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের ক্রেডিট রেটিং সূচক ছিল ট্রিপল এ। অর্থাত্ ঋণ পরিশোধ করারযোগ্যতায় প্রথম সারির দেশগুলির অন্যতম। সেই সূচক এবার কমে হয়েছে এএ প্লাস।
শুধু ফ্রান্সেরই নয়, ক্রেডিট রেটিং কমেছে পর্তুগাল, ইতালি-সহ ইউরোপের ৯টি দেশের। যদিও অনিশ্চয়তার এই আবহেও মজবুত আর্থিক অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ড।
বিশেষজ্ঞমহলের মতে, ক্রেডিট রেটিং কমায় নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন ইউরোপের নীতিনির্ধারকরা। ফ্রান্সের আর্থিক অবস্থা মজবুত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন তিনিও। কারণ স্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস-এর বক্তব্য, ইউরো জোনের আর্থিক সঙ্কট কাটাতে নীতি নির্ধারকদের পদক্ষেপ যথাযথ না হওয়াতেই এতগুলো দেশের ক্রেডিট রেটিং কমল। ঋণের ভারে ইতিমধ্যেই দেউলিয়া গ্রিস। আর্থিক সঙ্কটের অভিঘাতে বদল হয়েছে সরকার। আর্থিক সঙ্কট থেকে গ্রিসকে বাঁচাতে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য বেসরকারি ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলিকে আর্থিক ক্ষতি বহণ করার অনুরোধ জানিয়েছে লুকাস পাপাদামোসের নয়া সরকার ও ইউনিটারি পার্লামেন্টরি রিপাবলিক। স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড চাটার্ড-এর রিপোর্ট প্রভাব ফেলতে পারে গ্রিস সরকারের এই উদ্যোগেও। পরিস্থিতি সামলাতে তাই সক্রিয় হতে হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। ইইউ`র পাল্টা যুক্তি স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড চাটার্ড লগ্নিকারীদের কোনও নতুন অর্থবহ তথ্য দেয় না। খালি মন্দার আশঙ্কাকেই উসকে দেয়।