জীবনের জন্য মৃত্যুর মুখোমুখি
সামান্য একটু আশ্রয়ের খোঁজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিয়ে থাকেন শরণার্থীরা। এর ফলে ভূমধ্য সাগরে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। শরণার্থীদের এই মৃত্যু মিছিল রুখতে এবার তত্পর জার্মানি।
ওয়েব ডেস্ক: সামান্য একটু আশ্রয়ের খোঁজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিয়ে থাকেন শরণার্থীরা। এর ফলে ভূমধ্য সাগরে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। শরণার্থীদের এই মৃত্যু মিছিল রুখতে এবার তত্পর জার্মানি।
আশা একটাই। বিরাট এই পৃথীবিতে একটা নিরাপদ আস্তানা। তাই ঘরের মাটিতে চলতে থাকা লাগাতার হানাহানি-রক্তপাত থেকে বাঁচতে, প্রাণ হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আফগানিস্তান কিম্বা সিরিয়ার শরণার্থীরা। লক্ষ্য ইউরোপের কোনও দেশে মাথা গোঁজার জায়গা করা। কখনও ফেরিতে সওয়ার হয়ে। কখনও বা স্রেফ নৌকোতেই ভূমধ্য সাগর পেরনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কেউ পারেন। কেউ পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁদেরও যন্ত্রণা অনেক। আর যাঁরা পারেন না...চিরতরে হারিয়ে যান নীল সমুদ্রের গভীর জলে। এভাবেই যে কত নাম না জানা শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও হিসেব লেখা নেই কোনও খাতায়। পরিচয় তো দুরস্ত। তারপরেও কী থামে এই ঝুকির পারাপার? উত্তর...না।
আরও পড়ুন- এবার জনধন অ্যাকাউন্টের লেনদেনেও কড়া নজরদারি কেন্দ্রের
শরণার্থীদের মৃত্যুমিছিল রুখতে এবার উদ্যোগী হল জার্মানি। এখন থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়া মানুষদের ভূমধ্য সাগরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল বার্লিন। প্রয়োজনে মাঝ সমুদ্র থেকেই তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোরও কথা জানিয়েছেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী গার্ড মুলার।
জার্মান পরিকল্পণার সঙ্গে একমত তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারাও চায় ভূমধ্য সাগরে ঢোকার আগেই আটকে দেওয়া হোক শরণার্থীদের নৌকো। যদিও তেমনটা করা যায় কীনা, সে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। শরণার্থী মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন ডক্টরস উইথাউট বর্ডারস নামে চিকিত্সকদের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারাও চায় অবিলম্বে চালু হোক এধরনের নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন- ট্রেনের কামরায় থাকবে CCTV
শরণার্থী সমস্যা এখন ইউরোপের অন্যতম বড় সমস্যা। তাই এব্যাপারে আরও কঠোর হতে চায় বিভিন্ন দেশ। তেমনটা হলে এই সমস্ত সর্বহারার দল কী আদৌ কোনও দিন ঠিকানা খুঁজে পাবেন? প্রশ্ন এখন এটাই।