“ঐতিহাসিক মুহূর্ত, প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে গর্ব হচ্ছে”, কিমের দেশে গিয়ে বললেন ট্রাম্প
০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ‘ঐতিহাসিক সাক্ষাত’ হয়। এর পর ভিয়েতনামে তাঁদের সাক্ষাত্ হলে আলোচনা ভেস্তে যায়। কিন্তু এ দিন কিম ও ট্রাম্প দু’জনেই আশাবাদী সদর্থক আলোচনা হতে চলেছে তাঁদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও এক বার উত্তর কোরিয়ার শাসক কিং জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাতে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার ‘অসামরিক এলাকায়’ পৌঁছলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনিই প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘অসামরিক এলাকার’ সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছলেন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ত্বরাণ্বিত হওয়ার পর পরই ওই অসামরিক এলাকা খুলতে রাজি হন কিং জং উন। গত বছর অক্টোবরে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্র প্রধান ওই এলাকায় বৈঠক করেন। এ দিন শাসক কিমের সঙ্গে করমর্দন করে ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হতে চলেছে।”
২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ‘ঐতিহাসিক সাক্ষাত’ হয়। এর পর ভিয়েতনামে তাঁদের সাক্ষাত্ হলে আলোচনা ভেস্তে যায়। কিন্তু এ দিন কিম ও ট্রাম্প দু’জনেই আশাবাদী সদর্থক আলোচনা হতে চলেছে তাঁদের। উল্লেখ্য, এ দিন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে এসে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
আরও পড়ুন- ‘পুরসভার অত্যাচারের শেষ দেখে ছাড়ব’, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক আকাশের
অসামরিক এলাকা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান কিম। তিনি মনে করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পেরিয়ে এলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের কিম জানান, তাঁদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল বলেই এই বৈঠক হওয়া সম্ভব হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আরও এক বার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা হবে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে। সিঙ্গাপুর বৈঠকে সদর্থক আলোচনা হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে তিক্ত সম্পর্কে দাঁড়ায় দুই দেশ। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি ছিল কিমের প্রতিশ্রুতির পরও, সম্পূর্ণভাবে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করেননি কিম জং উন। এর পর ফের তাঁদের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।