টেমসের তীরে বিসর্জনের বিসন্নতা
পাঁচদিনের উত্সব শেষ। ফের ফিরতে হবে গতানুগতিক জীবনে। জানেন সকলেই। তবু, পুজোর এই কটা দিনের জন্য ছুটে আসেন ক্যামডেন সেন্টারে। আড্ডা, গল্পে, খাওয়াদাওয়ায় কোথা দিয়ে যে কেটে যায় পাঁচটা দিন, বুঝতেও পারেন না প্রবাসী বাঙালি পরিবারগুলি। শুরু হয় আবার একটা বছরের অপেক্ষা। বিজয়া দশমীতে লন্ডনের তাই মনখারাপ।
পাঁচদিনের উত্সব শেষ। ফের ফিরতে হবে গতানুগতিক জীবনে। জানেন সকলেই। তবু, পুজোর এই কটা দিনের জন্য ছুটে আসেন ক্যামডেন সেন্টারে। আড্ডা, গল্পে, খাওয়াদাওয়ায় কোথা দিয়ে যে কেটে যায় পাঁচটা দিন, বুঝতেও পারেন না প্রবাসী বাঙালি পরিবারগুলি। শুরু হয় আবার একটা বছরের অপেক্ষা। বিজয়া দশমীতে লন্ডনের তাই মনখারাপ।
ষষ্ঠী থেকেই জমজমাট। বোধন, নবপত্রিকা স্নান, কুমারী পুজো আর প্রতিদিন পুষ্পাঞ্জলি। সবই রয়েছে এক্কেবারে প্রথা মেনেই। কিন্তু, বিষাদের অন্তরা ধরে এসেই গেল দশমী। অপরাজিতা পুজো শেষ হতেই ক্যামডেন সেন্টারে শুরু হয়ে গেল দেবী বরণ।বরণ শেষ হতেই যেন কলকাতারই কোনও এক মণ্ডপ সরাসরি উঠে এল ক্যামডেন সেন্টারে। সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন মহিলারা।কিন্তু, বিষাদের করুণ সুরকে ঠেকিয়ে রাখা গেল? এক্কেবারেই না। উমার জন্য সেই মন কেমন করা পেয়ে বসল দীর্ঘদিন লন্ডনে থাকা এই পরিবারগুলিকেও।
বছরের অন্যদিনগুলো কাজের চাপে যাদের সঙ্গে জমিয়ে গল্প করা যায়নি, এই পাঁচটা দিন তাদেরই পাওয়া গেল এক্কেবারে নিজের মতো করে। গানে গল্পে আড্ডায় কেটে গেল পুজোর কটা দিন। দশমীর করুণ সুর যেন বিদেশে ঢাকের বোলেও। আর এভাবেই আরও একটা বছরের অপেক্ষাকে সঙ্গে নিয়ে ফের নিজেদের কর্মজীবনে প্রবেশ করেন লন্ডনের প্রবাসীরা।