ফুল, চন্দনের বদলে দামি মদ ও সিগারেটে খুশ ধনদেবতা একোকো

ফুল, চন্দন, বেলপাতায় দেবতা প্রসন্ন হন। কিন্তু এ দেবতার চাই দামি মদ আর সিগারেট। চমকে উঠবেন না। বলিভিয়ার ধনদেবতা একোকোকে সন্তুষ্ট করতে লাগে এমনই প্রণামী।    মনোবাঞ্ছা জানানোর ধরনও বড় অদ্ভুত। যা চাইবেন, তার প্রতীক তুলে দিতে হবে পুরোহিতের হাতে।

Updated By: Jan 26, 2017, 11:25 PM IST
ফুল, চন্দনের বদলে দামি মদ ও সিগারেটে খুশ ধনদেবতা একোকো

ওয়েব ডেস্ক: ফুল, চন্দন, বেলপাতায় দেবতা প্রসন্ন হন। কিন্তু এ দেবতার চাই দামি মদ আর সিগারেট। চমকে উঠবেন না। বলিভিয়ার ধনদেবতা একোকোকে সন্তুষ্ট করতে লাগে এমনই প্রণামী।    মনোবাঞ্ছা জানানোর ধরনও বড় অদ্ভুত। যা চাইবেন, তার প্রতীক তুলে দিতে হবে পুরোহিতের হাতে।

ভক্তের ভগবান। স্থান-কাল পাত্র ভেদে এ প্রবচনেই মন্দিরমুখো হন ধর্মপ্রাণ মানুষ। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে উজাড় করে দেন মনের বাসনা। মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য কেউ করেন মানত। কেউ বা নিবেদন করেন পছন্দের খাবার। আবার কেউ ধূপ, ধুনো, মালাতেই পুজো করেন। দক্ষিণেশ্বর বা তারাপীঠে গেলেই চোখে পড়বে এমন ছবি। বলিভিয়াতেও ফি বছর এই সময়টা ধূমধাম করে হয় আয়মারা উত্‍সব। সম্পদ-ঈশ্বর্যের দেবতা একেকোর পুজোয় ঢল নামে মানুষের।

আরও পড়ুন- ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে আলোকিত হয়ে উঠল দুবাইয়ের বুর্জ খালিফা!(দেখুন ভিডিও)

পুজোর ধরনও ভারি অদ্ভুত। একেকো দেবতা ফুল-চন্দনে সন্তুষ্ট হন না। তার প্রসাদ দামি মদ আর ভাল তামাক। স্থানীয় বাসিন্দা প্যারাডাব বললেন, "ঈশ্বরের কাছে মনের কথা জানালাম। মাথার ওপর একটা ছাদ খুব দরকার। সে কথাই জানালাম ঘর দেখিয়ে।"

এটাই বড় মজার। আয়ামারা উত্‍সবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এখানে ভক্তরা যা চান, তার একটি প্রতীক  হাতে করে নিয়ে আসেন। সেটাই তুলে দেন পুরোহিতের হাতে। এই ইনি যেমন নিয়ে এসেছেন খেলনা কচ্ছপ। কচ্ছপ বলিভিয়ানদের কাছে সম্পদ আর ঐশ্বর্যের প্রতীক।

আরও পড়ুন- পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে গ্রাম ভারতের ক্ষতে মলম লাগাতে সচেষ্ট মোদী সরকার

আয়মারা উত্‍সবের সময়েও মেলাও বসেছে জমিয়ে। মন্দিরের পাশেই ঢালাও বিক্রি হচ্ছে খেলনা ঘরবাড়ি, চাবির রিং, পুতুল, রকমারি মনোহারি জিনিস। বছর শুরুর সময়টাতেই একেকোর কাছে বছরভর ভালো থাকার প্রার্থনা জানান বলিভিয়ানরা। অনেকটা আমাদের কল্পতরু উত্‍সবের মতোই।

.