Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কার উপকূলে চিনা জাহাজ নিয়ে ফের ভারত-চিন উত্তাপ
ভারত কোথাও এমন একটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, চিন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করার লক্ষ্যে যা করছে, তাতে এক হিসেবে শ্রীলঙ্কার উপরেই চাপ পড়ছে। চাপটা চিনের উপস্থিতির।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত ও চিনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল আগেই। বাদানুবাদ না বলে টেনশনও বলা চলে। এই টানাপোড়েনের শুরু শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা পোর্টে চিনের একটি জাহাজ আসায়। যা নিয়ে ভারতের তীব্র আপত্তি ছিল। ভিন্ন কারণে আপত্তি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও। কিন্তু সেই আপত্তি চিন মানেনি। কিন্তু এখন সংকটটা আর চিন-ভারত বা আমেরিকার মধ্যে আবদ্ধ নেই। এখন বিষয়টা নিয়ে শ্রীলঙ্কা ও চিনের মধ্যেও একটা তিক্ততার আবহ তৈরি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন? কারণ, ভারত কোথাও এমন একটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে, চিন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করার লক্ষ্যে যা করছে, তাতে এক হিসেবে শ্রীলঙ্কার উপর চাপ পড়ছে চিনের উপস্থিতির। আর ভারতের এই উদ্বেগেরই তীব্র সমালোচনা করেছে চিন। চিন শ্রীলঙ্কাকে মনে করিয়ে দিয়েছে, তারা চিনকে নিয়ে যেন অনর্থক ভয় না পায়, কেননা তাদের উত্তরের প্রতিবেশীই বরং তাদের কখনও না কখনও বিপন্ন করার জন্য দায়ী। স্পষ্টতই তির ভারতের দিকেই।
কিছু দিন আগে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে চিনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কিছু উপগ্রহচিত্র পাওয়া গিয়েছিল। যা নিয়ে বিপুল আলোচনা-পর্যালোচনা চলেছিল। স্যাটেলাইট চিত্রগুলি ইঙ্গিত করছিল যে, আফ্রিকার শিংয়ের কাছে, জিবৌতিতে চিনের যে নৌ ঘাঁটি স্থাপিত তা এখন সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় এবং শুধু তাই নয়, এটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মোতায়েন করা চিনা যুদ্ধজাহাজকে নানা ভাবে সহায়তা দেয়। জিবৌতিতে চিনের ঘাঁটি হল তার প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি, যা ৫৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত। ২০১৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কৌশলগত ভাবে বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত। বাব-এল-মান্দেব প্রণালী এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগরকে পৃথক করে। এই যুদ্ধজাহাজটি সুয়েজ খালের দিকেও নজর রাখে। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল।
নৌ বিশ্লেষক এইচআই সাটন এই জাহাজ নিয়ে বলেছিলেন, চিনের জিবৌতি ঘাঁটি সুরক্ষিত উপায়ে তৈরি। এখানকার প্রতিরক্ষার স্তরগুলি আধুনিক দিনের ঔপনিবেশিক দুর্গের মতো তৈরি। এটি সরাসরি আক্রমণ সহ্য করার জন্য পরিকল্পিত হয়েছে। প্রাপ্ত ছবিগুলি দেখায় একটি চিনা ইউঝাও-শ্রেণির ল্যান্ডিং জাহাজ (টাইপ ০৭১), যার একটি ৩২০-মিটার-লম্বা বার্থিং এলাকা রয়েছে, যা হেলিকপ্টার অপারেশনকে সাহায্য করবে। অবসরপ্রাপ্ত ভাইস অ্যাডমিরাল শেখর সিনহা এই নৌ-ঘাঁটি নিয়ে বলেছেন, ঘাঁটিটি সম্পূর্ণরূপে চালু। যদিও সেখানে আরও নির্মাণকাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেটির প্রস্থ সংকীর্ণ, তবে এটি একটি চিনা হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট বড়।