গাঁটের ব্যাথা সারাতে প্রতিবছর ৮০ টন বিষধর সাপ ধরা হয় ভিয়েতনাম উপকূল থেকে
সাপের ঘরে অনুপ্রবেশ! এক প্রকার জঙ্গি নাশকতাই বটে। ভিয়েতনামের সমুদ্রতট থেকে ৮০ টন বিষধর সাপ ধরা হয় প্রতি বছর। যদিও বেশকিছু মৎস্যজীবীর প্রাণও যায় এই বিষাক্ত খেলায়। কিন্তু বিশ্ব বাজারে সাপের বিষের বাড়ন্ত চাহিদার জন্য ফুলে ফেঁপে উঠছে সাপ ধরার ব্যবসা।
ওয়েব ডেস্ক: সাপের ঘরে অনুপ্রবেশ! এক প্রকার জঙ্গি নাশকতাই বটে। ভিয়েতনামের সমুদ্রতট থেকে ৮০ টন বিষধর সাপ ধরা হয় প্রতি বছর। যদিও বেশকিছু মৎস্যজীবীর প্রাণও যায় এই বিষাক্ত খেলায়। কিন্তু বিশ্ব বাজারে সাপের বিষের বাড়ন্ত চাহিদার জন্য ফুলে ফেঁপে উঠছে সাপ ধরার ব্যবসা।
জীব সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি জার্নালে গত ডিসেম্বর মাসে বৈজ্ঞানিকরা একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা সাপ পাচার চক্রের সঙ্গে মৎস্যজীবীদের সক্রিয় যোগাযোগের কথা উল্লেখ করছে। বৈজ্ঞানিকরা প্রশ্ন তুলছেন বৃহৎ সংখ্যায় সামুদ্রিক সাপ ধরা হলে ক্ষতি হতে পারে আমাদেরই।
ভিয়েতনামের মৎস্যজীবীরা প্রতি বছর ৮০ টন বিষধর সাপ ধরে। সংখ্যাটা ২২৫,৫০০ -র বেশি। বিশ্ব বাজারে ৩ মিলিয়ন ডলারে বিকোয় এই সাপ।
এই সাপের হৃদপিণ্ড, গলব্লাডার দিয়ে তৈরি হয় অনিন্দ্রার, গাঁটের ব্যাথার মতো রোগের ওষুধ। সে কারণেই এই সাপের চিহাদা এত চড়া।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সাপ ধরার এই খেলায় কীভাবে ইন্ধন জোগাতে পারে সে দেশের প্রশাসন। উল্লেখ্য এই ধরণের ব্যবসায় কালো টাকা আর পাচারকারীদের রমরমা থাকায় রাশ টানা যাচ্ছে না সর্প নিধনে।
তথ্যসূত্র ও ছবি: ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক