জামাতের প্রতিষ্ঠাতার বিচার শুরুর নির্দেশ দিল ঢাকা
মানবতাবিরোধী যুদ্ধ-অপরাধে অভিযোগে জামাত প্রতিষ্ঠাতা গুলাম আজমের বিচার শুরুর নির্দেশ দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী পরিকল্পনা, পাক সেনাদের সাহায্যের মতো মোট একষট্টিটি অভিযোগে তাঁর বিচার হবে।
মানবতাবিরোধী যুদ্ধ-অপরাধে অভিযোগে জামাত প্রতিষ্ঠাতা গুলাম আজমের বিচার শুরুর নির্দেশ দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী পরিকল্পনা, পাক সেনাদের সাহায্যের মতো মোট একষট্টিটি অভিযোগে তাঁর বিচার হবে। এবছর ১১ জানুয়ারি থেকে জেলবন্দী রয়েছেন গুলাম আজম। আগামী ৫ জুন ওই জামাত নেতার বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইবুনাল।
মৌলবাদী সংগঠন জামাতে ইসলামির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই বাংলাদেশে পরিচিত গুলাম আজম। অবশেষে তার বিরুদ্ধে থাকা মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
শুধু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতাই নয়। সেই সময় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বাদর বা মুজাহিদ বাহিনীর মতো পাকিস্তানপন্থী সংগঠন গড়ে তোলার পিছনেও তাঁর প্রধান ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। আর ওই সব সংগঠনের মাধ্যমেই একাত্তরের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর হামলা শুরু করেছিল পাক সেনা। অভিযোগ যাবতীয় পরিকল্পনার অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন এই গুলাম আজম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগের দিন লন্ডন পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। ফের দেশে ফেরেন ১৯৭৮ সালে, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর।
গুলাম আজমের বিরুদ্ধে ৫ জুন থেকে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন বিচারপতি নিজামমুল হকের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল। এই নিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় তৃতীয়বার রায় দিল ওই ট্রাইবুনাল। এর আগে তাদের রায় ছিল আরেক জামাত নেতা দিলওয়ার হুসেন সাইদি এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গুলাম আজমের বিচারের নির্দেশ বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন বিচারপতি নাজমুল হক।