Most Wanted জঙ্গি নেতা ISI-এর শীর্ষপদে, সন্ত্রাস দমন করছে পাকিস্তান!
এই জঙ্গি নেতাকে পাকিস্তানে আর কোনও চেক পোস্টে আটকানো যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন- এমন একটা দেশ যারা বারবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। আর প্রতিবারই সেই দেশের রাষ্ট্রনেতারা দাবি তোলেন, সব অভিযোগ মিথ্যে। বরং তারা বরাবর সন্ত্রাস দমনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বারবারই সেই দেশের নেতাদের মুখোশ খুলে যায়। আরো একবার পাকিস্তানের কুকীর্তি প্রকাশ হল। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতাকে আইএসআই-এর শীর্ষপদে বসাল ইমরান খানের সরকার। চুপচাপ কাজটা করে ফেললেও তা আর ঢাকা রইল না। সৌজন্যে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ। সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ শাহ ওরফে সৈয়দ সালাহউদ্দিনকে আইএসআই-এর অফিসার পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের গোয়েন্দারা। আইএসআই-এর যাবতীয় অপারেশন এর তদারকি করবে সেই জঙ্গি নেতা।
হিজবুল মুদাহিদিনের নেতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন। আর কয়েক বছর ধরে এই জঙ্গি নেতাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলে নথিভুক্ত করেছে ইসলামাবাদ। জানা গিয়েছে সালাহউদ্দিন ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলেরও (UJC) নেতা। এই জঙ্গি নেতাকে পাকিস্তানে আর কোনও চেক পোস্টে আটকানো যাবে না। আইএসআই-এর অফিসার হওয়ায় এত বড় ছাড় দেওয়া হবে এক জঙ্গি নেতাকে। পাকিস্তানে এটাই নিয়ম। তা ছাড়া যে গাড়িতে এই জঙ্গি নেতা যাতায়াত করবে সেটিকে বিশেষ সুরক্ষার তত্ত্বাবধানে আনা হবে। আপাতত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত একজন অফিসারের মতো যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে সালাহউদ্দিন। ভারত তো বটেই, পাকিস্তানও একাধিকবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সালাহউদ্দিনের জঙ্গি কার্যকলাপের প্রমাণ দিয়েছে। আর প্রতিবারই পাকিস্তান জঙ্গি দমনের জিগির তুলেছে।
ভারতীয় গোয়েন্দদের এই দাবি FATF-এর বৈঠকের আগে পাকিস্তানকে চাপে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নিয়ে গড়া ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল-এর প্রধান সলাহউদ্দিন কাশ্মীরেও একের পর এক নাশকতার সঙ্গে জড়িত। তবে আপাতত পাকিস্তানে তাঁর কোনও ভয় নেই। ইমরানের সরকার তাঁকে যতটা সম্ভব সুরক্ষা প্রদান করছে।