পৃথিবী ধ্বংসের পরেও কোন জায়গাগুলিতে আপনি তখনও নিরাপদ
মাঝেই মাঝেই তো ভবিষ্যদ্বাণী শোনা যায়, পৃথিবী নাকি ধ্বংস হবে! যদি সত্যিই এমনটা হয়, তাহলে কী হবে বলুন তো? এত সাধের জীবনটা বেঘোরে হারিয়ে যাবে? এমনটা হতে দেওয়া যায় নাকি! এই প্রতিবেদনে সুলুক সন্ধান রইল এমনই ১৩টি জায়গার, পৃথিবী ধ্বংস হলেও যেখানে আপনি থাকবেন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই আর দেরি নয়। পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে, এমন আভাস মিললেই বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে বরং বেরিয়ে পড়ুন এর যেকোনও একটি গন্তব্যের উদ্দেশে।
ওয়েব ডেস্ক : মাঝেই মাঝেই তো ভবিষ্যদ্বাণী শোনা যায়, পৃথিবী নাকি ধ্বংস হবে! যদি সত্যিই এমনটা হয়, তাহলে কী হবে বলুন তো? এত সাধের জীবনটা বেঘোরে হারিয়ে যাবে? এমনটা হতে দেওয়া যায় নাকি! এই প্রতিবেদনে সুলুক সন্ধান রইল এমনই ১৩টি জায়গার, পৃথিবী ধ্বংস হলেও যেখানে আপনি থাকবেন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই আর দেরি নয়। পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে, এমন আভাস মিললেই বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে বরং বেরিয়ে পড়ুন এর যেকোনও একটি গন্তব্যের উদ্দেশে।
১) আইল্যান্ড- ইউরোপের সবচেয়ে জনবর্জিত দেশ। মাছচাষের উত্তম সুযোগ। ফলে না খেয়ে থাকতে হবে না।
২) গুয়াম- প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনাধীন দ্বীপ। ছোট্ট এই দ্বীপে এতসংখ্যক সেনা মোতায়েন যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলেও চিন্তার কিছু নেই!
৩) ডেনভার- সমতল থেকে বহু উঁচুতে পর্বত ঘেরা শহর। ফলে বন্যার আশঙ্কা নেই। ভূগর্ভে রয়েছে তেলের সম্ভারও।
৪) পুনকাক জায়া- বিশ্বের সোনার খনি। বিপদের সময় নিঃসন্দেহে অন্যতম পছন্দের স্থান হবে।
৫) বার্ন- বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিশ্বের কোনও ঝামেলাতে সাতেপাঁচে থাকে না সুইত্জারল্যান্ড। তাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন সুইত্জারল্যান্ডের এই শহরে।
৬) টেরা ডেল ফুগো- দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই অঞ্চলে হানা দিতে সাহস করবে না বিশ্বের কোনও তাবড় শক্তিই!
৭) কানসাস সিটি- শহর ঘিরে প্রচুর আবাদি জমি। রয়েছে রেলরোড হাবও। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনও সমস্যাই হবে না।
৮) ত্রিস্তান দা চুনহা- বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত, জনবসতিহীন অঞ্চল। তবে মাছের অঢেল সম্ভার। তাই মাছচাষের উত্তম সুযোগ রয়েছে।
৯) আন্টার্কটিকা- আত্মগোপনের সবচেয়ে ভালো জায়গা। শত্রু আপনার টিকিটিও খুঁজে পাবে না।
১০) কেপ টাউন- দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে উন্নত শহর। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এই শহরে তেমন পাশ্চাত্য প্রভাব নেই। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলেও এ শহর নিরাপদ। সহজে কেউ হাত বাড়াবে না।
১১) লিউস দ্বীপ- মূল ভূভাগ থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টার পথ। রয়েছে জীবনধারণের সুযোগ। কিন্তু গত ৯০০ বছরে কোনও ব্রিটিশ ওপথে পা মাড়াননি।
১২) ইউকন- পশ্চিম কানাডার সবচেয়ে প্রত্যন্ত প্রদেশ। প্রচুর বন্যসম্পদ ও খনিজ সম্পদের ভান্ডার রয়েছে। ফলে জীবিকা সন্ধান কোনও অসুবিধারই হবে না।
১৩) নেকার দ্বীপ- ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন এই দ্বীপের বাসিন্দা। তাঁর কাছে গিয়ে একটু বিনয় করলে আশ্রয় মিলে যেতেই পারে।