Bangladesh: কোনও সাড়া দিচ্ছে না ভারত! বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল

Bangladesh: বাংলাদেশে যে পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়, তার অর্ধেক পণ্য রেলপথ দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে আমদানি হয়।

Updated By: Aug 31, 2024, 07:52 PM IST
Bangladesh: কোনও সাড়া দিচ্ছে না ভারত! বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল

সেলিম রেজা | ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ ৩০ দিন বন্ধ থাকার পর কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো চালু হয়নি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রেলপথে যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন রেলপথে পণ্য আমদানিকারক ও সাধারণ যাত্রীরা।

আরও পড়ুন-মদ্যপান করে ডিউটি করলেই চাকরি বাতিল, সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে এবার কড়া নির্দেশিকা

ঢাকার রেলভবন থেকে জি মিডিয়াকে বলা হয়েছে, আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলছে না। ফলে আন্তঃদেশীয় ট্রেন কবে চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশে যে পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়, তার অর্ধেক পণ্য রেলপথ দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে আমদানি হয়। রেলপথে বাংলাদেশে আসে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, শিল্পকারখানার কাঁচামাল, সার, সিমেন্ট তৈরির উপকরণ ও কৃষি যন্ত্রাংশ। এ ছাড়া, বাংলাদেশের বেনাপোল ও চিলাহাটী স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস বোনাপোল ও মিতালী এক্সপ্রেস চিলাহাটী রুট ব্যবহার করে। এই তিনটি ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের নিরাপদে ভারত যাওয়া ব্যাহত হচ্ছে। যেসব যাত্রীরা ট্রেনে ভারতে যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আপাতত নতুন করে আর কোনো আন্তঃদেশীয় ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের ভারতীয় রেক ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে রাখা আছে। এছাড়া আরও যেসব ভারতীয় পণ্যবাহী ওয়াগন বাংলাদেশে এসেছিল, পণ্য খালাস শেষে সেগুলো বাংলাদেশেই আছে। এসব খালি ওয়াগন নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলেও সাড়া দিচ্ছে না ভারত। আমদানিকারকদের পণ্যবোঝাই ওয়াগন ভারত সীমান্তে আছে। কিন্তু অনুমতি না থাকায় সেগুলো বাংলাদেশে আনা যাচ্ছে না। এর মধ্যে থাকা কাঁচাপণ্যগুলো হয়তো ইতোমধ্যে পচে গেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জি মিডিয়াকে বলেন, ভারতের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স থেকে এখন পর্যন্ত ট্রেন চালানোর বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.