Bangladesh: সমুদ্রে জাল ফেলে জেলেরা ধরে আনছেন মিষ্টিজলের মাছ রুই-কাতলা! এ কী?
Bangladesh Flood: জেলেরা বলছেন, সম্প্রতি আশপাশের এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় এমন ঘটছে। ফেনি ও নোয়াখালি এলাকায় বাঁধ ভেঙে সাগরে ভেসে গিয়েছে শত শত পুকুর ও খামারের মাছ। জাল ফেলার পর এখন সেইসব মাছই জালে ধরা পড়ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিষ্টি জলের মাছ এসে পড়েছে নোনা জলে। এর ফলে যা হয় আর কী! মরেছে সব মাছ। আর সমুদ্রে জাল ফেলে এখন সেইসব মরা মাছ ধরছেন জেলেরা। ঘটনাটা ঘটেছে চট্টগ্রামের সমুদ্রঘেঁষা এলাকা দক্ষিণ কাট্টলিতে। এই এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রানি রাসমণি মাছের ঘাটে প্রতিদিন নিলামে বিক্রির জন্য মাছ তোলেন জেলেরা। ইলিশ, লোটে-সহ নানা জাতের সামুদ্রিক মাছ কিনতে এখানে আসেন ক্রেতারা।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে এখানে দেখা গিয়েছে ভিন্ন ছবি। সামুদ্রিক মাছের বদলে এঘাটে উঠছে রুই, কাতলা ও মৃগেল! সমুদ্রে জাল ফেললেই রুই, কাতলা-সহ মিষ্টি জলের সব মাছ উঠে আসছে বলে জানান জেলেরা। কেন এরকম হচ্ছে?
জেলেরা বলছেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের আশপাশের এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার পরই এমন ঘটনা ঘটছে। ফেনি ও নোয়াখালি এলাকায় বাঁধ ভেঙে সাগরে ভেসে গিয়েছে শত শত পুকুর ও খামারের মাছ। জাল ফেলার পর এখন সেসব মাছই ধরা পড়ছে। সাগরে ধরা পড়ার কারণে সব মাছই মৃত হিসেবে ধরেছেন জেলেরা। ঘাটে এসে সস্তায় তাঁরা সেসব মাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন।
স্থানীয় এক জেলে বলেন, বন্যার শুরু থেকেই সাগরে হঠাৎই পুকুরের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ইদানীং একটু কমেছে। শুরুর কয়েকদিন তো বিপুল পরিমাণে পুকুরের মাছ ধরা পড়েছে সমুদ্র থেকে।
আরও পড়ুন: INS Arighat: 'অরিহন্তে'র পরে 'অরিঘাত'! পরমাণুশক্তির জোড়া ফলায় ভারত এবার মহাসমুদ্রেও মহাশক্তিধর...
জেলা মৎস্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় ছোট-বড় পুকুর-দিঘির সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি। চিংড়ির ভেড়ি রয়েছে ১১৫০টি। সম্প্রতি বন্যায় প্রায় ১৭ হাজার জলাশয়ের ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টন মাছ ভেসে গিয়েছে। প্রায় ১৪ লাখ পোনা ও দু'লাখ চিংড়ির লার্ভা ভেসে গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)