সিগারেট পেপার না দেওয়ায় সজোরে ঘুসি, মৃত্যু হল ভারতীয় বংশোদ্ভূতর
সিগারেট পেপার না দেওয়ায় মৃত্যু হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক স্টোর কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর লন্ডনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিগারেট পেপার না দেওয়ায় মৃত্যু হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক স্টোর কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর লন্ডনে।
ব্রিটেনে ১৮ বছরের নীচে মাদক ও অ্যালকোহল সেবন আইনত অপরাধ। সেই নিয়ম মেনেই এক দল উন্মত্ত কিশোরকে সিগারেট পেপার দিতে চাননি ৪৯ বছর বয়সী বিজয় প্যাটেল। এই ছিল তাঁর অপরাধ! সিগারেট পেপার না দেওয়ায় প্রথমে বচসা শুরু করে ওই কিশোরেরা। তারপর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছতেই বিজয়কে সটান ঘুসি মারে এক কিশোর। এতে গুরুতর আঘাত পান বিজয়। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু দু'দিন পর মৃত্যুর কাছ হার মানতে বাধ্য হয় বিজয়।
আরও পড়ুন- আগ্নেয়গিরি মতো ফাটল অণ্ডকোষ, তারপর...
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। উত্তর লন্ডনের হিলমিল শহরের একটি স্টোরে সিগারেট পেপার কিনতে আসে একদল কিশোর। সবাই ১৮ বছরের নীচে থাকায় পেপার দিতে চাননি ওই স্টোরের কর্মী বিজয়। ওই কর্মীর সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে কিশোরেরা। ঝেমালা মেটাতে বিজয় তাদেরকে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু হঠাত্ই এক কিশোর বিজয়ের বুকে সজোরে ঘুসি মারে। ছিটকে দোকানের বাইরে চলে যায় বিজয়। মাথায় চোট লাগে তাঁর। এরপর বেগতিক দেখে চম্পট দেয় কিশোরদের দলটি। শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিজয়কে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় লাইফ সার্পোট দেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন- মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এলেন পাওলি
ঘটনার সময় বিজয়ের স্ত্রী ভারতে ছিলেন। পরিবারের তত্পরতায় লাইফ সাপোর্ট ব্যবস্থায় থাকা বিজয়ের ছবি প্রকাশ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে জনমত তৈরি করা হয়। এই ঘটনায় ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। খোঁজ চলছে বাকিদেরও।
আরও পড়ুন- চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করার ৪ ঘণ্টা পর জেগে উঠল 'মরা'
স্টোরের মালিক আবদ্দুলা রাহিমজাই বলেন, "বিজয়ের মাথায় সজোরে আঘাত লেগেছিল। বিজয় ছিল আমার কাছে পৃথিবীর অন্যতম সত্ মানুষ। ও আমার ডান হাত ছিল।"