নেপালে বিমান দুর্ঘটনা, নিহত ১৩ ভারতীয়
উত্তর নেপালের পর্বতবেষ্ঠিত জমসম বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটিতে ২১ জন আরোহী ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়।
উত্তর নেপালের পর্বতবেষ্ঠিত জমসম বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটিতে ২১ জন আরোহী ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়।
কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল পৌনে দশটায় নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট জমসমে অবতরণের চেষ্টা করছিল অগ্নি এয়ারলাইন্সের ডর্নিয়র বিমানটি। বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ রানওয়েতে অবতরণের সময় পাহাড়ের চূড়ায় ধাক্কা লাগলে ভেঙে পড়ে সেটি। বিমানের ২১ জন আরোহীর মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়।
দূর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনা। নেপাল প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিমানে মোট ১৮ জন যাত্রী ও পাইলট-সহ ৩ জন বিমানকর্মী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন ভারতীয় ও ডেনমার্কের নাগরিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়েরই মৃত্যু হয়েছে। ছ'জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পোখরায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও, সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যটকরা মুক্তিনাথ দর্শন করতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
কাঠমাণ্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জমসম বিমানবন্দরের উচ্চতা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৬০০ মিটার। পৃথিবীর অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এই বিমানবন্দরের রানওয়েতে কেবল ছোট বিমান ওঠা-নামা করতে পারে। পোখরা থেকে জমসমের ২০ মিনিটের উড়ান ভ্রমণপিপাসুদের কাছে খুব জনপ্রিয়। উড়ানে হিমালয়ের বেশ কয়েকটি তুষারাবৃত পর্বতশিখরের ওপর দিয়ে উড়ে যায় বিমানটি। অবতরণের সময় কালী গণ্ডক নদীখাত অনুসরণ করে এগোতে হয় রানওয়ের দিকে।