প্রথম পাতা জুড়ে শুধুই করোনায় মৃতদের নাম, সম্মান জানানো হল যেভাবে
এদিন নিউ ইয়র্ক টাইমস—এর শিরোনাম করা হয়— আমেরিকায় মৃত্যু এক লাখ। এটি অপূরণীয় ক্ষতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন— খবরের কাগজের প্রথম পাতায় কোনও খবর নেই। শুধুই করোনায় মৃতদের নাম। এমন অভিনব সম্মান দেখে নিউ ইয়র্ক টাইমস—এর প্রশংসা এখন সারা বিশ্বজুড়ে। প্রথম পাতায় কোনও ছবিও ছিল না এদিন। আমেরিকায় করোনায় মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছুঁয়েছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস। অন্তত একটা দিন করোনায় মৃতদের নাম কোথাও একটা তোলা থাকল। একসঙ্গে রইল এক লাখ মৃত ব্যক্তির নাম। সারা বিশ্বে কোনও সংবাদপত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেখা গেল এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
এদিন নিউ ইয়র্ক টাইমস—এর শিরোনাম করা হয়— আমেরিকায় মৃত্যু এক লাখ। এটি অপূরণীয় ক্ষতি। শুধু প্রথম পাতা নয়, ভিতরের পাতাতেও এক হাজার করোনায় মৃতের নাম ছিল। আমেরিকায় করোনার থাবা প্রতিদিনই আরও চওড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি যে ট্রাম্প সরকারের হাতের নাগালে চলে গিয়েছে সেটা অনেক আগেই বোঝা গিয়েছিল। এরই মধ্যে দেশের এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গিয়েছিলেন গলফ খেলতে। যা নিয়ে গোটা আমেরিকায় বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে। দেশের এমন বিপর্যয়ের সময় একজন রাষ্ট্রনেতা কী করে এতটা খোশমেজাজে থাকেন, অনেকেই সেই প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা, গুলির থেকে বেঁচে যাওয়া হিটলারের পোষা কুমীর মারা গেল
আমেরিকার অনেক বাসিন্দা মনে করেন, সঠিক সময়ে লকডাউন ঘোষণা করা হলে এত প্রাণহানি রোখা সম্ভব হত। কিন্তু ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছেন। যার খেসারত দিতে হয়েছে বহু মানুষকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, লকডাউনের জন্য আমেরিকার জন্ম হয়নি। ফলে শুরুতে লকডাউন ঘোষণা করতে চাননি তিনি। আর তাতেই আমেরিকায় আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ওয়ার্ল্ডোমিটার—এর তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে রাত পর্যন্ত আমেরিকায় ৯৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, মৃতের সংখ্যা অনেক আগেই এক লাখ পেরিয়েছে।