কোরিয়া উপদ্বীপ জুড়ে পরমাণু যুদ্ধের আবহ
এশিয়ার আকাশে কি পরমাণু যুদ্ধের মেঘ? আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে ঘিরে পিয়ং ইয়ং যেভাবে পাল্টা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তাতে তেমন সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। একদিকে কোরীয় উপদ্বীপে উড়ে এসেছে মার্কিন বোমারু বিমান। অন্যদিকে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত সব ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে পিয়ং ইয়ং। সব মিলিয়ে রীতিমতো সংঘাতের আবহ গোটা কোরীয় উপদ্বীপ জুড়ে।
এশিয়ার আকাশে কি পরমাণু যুদ্ধের মেঘ? আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে ঘিরে পিয়ং ইয়ং যেভাবে পাল্টা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তাতে তেমন সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। একদিকে কোরীয় উপদ্বীপে উড়ে এসেছে মার্কিন বোমারু বিমান। অন্যদিকে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত সব ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে পিয়ং ইয়ং। সব মিলিয়ে রীতিমতো সংঘাতের আবহ গোটা কোরীয় উপদ্বীপ জুড়ে।
কোরীয় উপদ্বীপ এলাকায় আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে ৪০ হাজার মার্কিন এবং দক্ষিণ কোরীয় সেনা। মহড়ায় রয়েছে মার্কিন বোমারু বিমান, যুদ্ধ বিমান, সাবমেরিন। মহড়া চলাকালীন বৃহস্পতিবার কোরীয় উপদ্বীপের উপর দিয়ে উড়ে যায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুটি বি টু বম্বার। সরসারি আমেরিকার মিসৌরি থেকে কোরিয়ায় উড়ে এসে ফের ফিরে যায় ওই দুই বিমান। দরকারে মার্কিন মুলুক থেকে উড়ে এসেও কোরীয় উপদ্বীপের যে কোনও এলাকায় হামলা চালাতে সক্ষম আমেরিকা, তারই প্রমাণ মিলেছে মহড়ায় ইউএস বি টু বম্বারের অংশগ্রহণে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে তৃতীয় পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটায় উত্তর কোরিয়া। এনিয়ে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগ এনেছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। সেকারণে যৌথ মহড়াকে রীতিমতো মার্কিন হুমকি হিসেবেই দেখছে উত্তর কোরিয়া। দেখছে হঠাত্ করে মার্কিন হামলার প্রস্তুতি হিসেবে। জবাবে স্কাড, নোডং, মুসুদানের মতো পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার সব ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে পিয়ং ইয়ং। এই সব ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়া তো বটেই, হাওয়াই এবং গুয়াম দ্বীপের মতো এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই নির্দেশ জারির আগে দেশের সুপ্রিম কমান্ডের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এছাড়াও রাজধানী পিয়ং ইয়ং-এ এক বিরাট জনসভায় হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট সহ দেশের শীর্ষনেতারা।
উত্তর কোরিয়ার এই সব সিদ্ধান্তের জেরে পাল্টা হুমকি দিয়েছে আমেরিকাও। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হেগেলের ভাষায় হুমকির সুর স্পষ্ট, "উত্তর কোরিয়াকে বুঝতে হবে তারা যা করছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমরা একথা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিতে চাই, উত্তর কোরিয়ার উস্কানি আমরা মোটেই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। আমরা এসবের জবাব দেব।"
দক্ষিণ কোরিয়া-আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়ার পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটকে তৈরি থাকার জন্য পিয়ং ইয়ংয়ের নির্দেশ, বিবৃতি এবং পাল্টা বিবৃতির জেরে কোরীয় উপদ্বীপ জুড়ে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধের আবহ। এঘটনায় রীতিমতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। রুশ বিদেশমন্ত্রী আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছে যেকোনও ধরনের সামরিক কার্যকলাপ অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। একইসঙ্গে পরমাণু অস্ত্রপরীক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম উত্তর কোরিয়ার মেনে চলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমানোর আর্জি জানিয়েছে চিন।